আদালতে পরীমণির জামিনদার কে এই তরুণ?

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক দিনের মাথায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা ‘মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর’ মামলায় চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমণি জামিন পেয়েছেন।

গতকাল সোমবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম মোহাম্মদ জুনায়েদ তা মঞ্জুর করেন।

জামিনের জন্য সোমবার সকাল পৌনে দশটার দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

রীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, আদালতের জামিন আদেশের পর পরীমনির জামিননামা লেখা হয়। আমি জামিনদার হয়েছি। আরেকজন জামিনদার হয়েছেন শেখ সাদী। জামিনদার হয়ে শেখ সাদী আদালতে শুরু থেকে পরীমণির সঙ্গে ছিলেন।

তরুণ প্রজন্মের গায়ক শেখ সাদী। এই তরুণের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান রয়েছে। পরীমনির জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে শেখ সাদী গণমাধ্যমকে বলেন, একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমনির সঙ্গে বেশ আগেই পরিচয় হয়েছিল। তখন থেকে পেশাগত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হয়।

শেখ সাদীর জামিনদার হওয়া প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, শেখ সাদী আমার সহকর্মী। তার সঙ্গেও গতকাল কথা হয়। আদালতে শুনানির সময় সে ছিল। জামিন পাওয়ার পর আইনজীবী জামিনদারের পাশাপাশি স্থানীয় একজন জামিনদারের প্রয়োজন হয়। শেখ সাদী তখন জামিননামায় স্বাক্ষর করেন।

এর আগে শেখ সাদীকে নিয়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছিলেন পরীমনি। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘তুমি আমার দেখা সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তি! সাদি।
আমি একরকম তার কনসেন্ট ছাড়াই এটা ক্যাপিট্যুরেড করেছিলাম যখন সে তার আপকামিং মিউজিক অ্যালবামের শেষ গানটা লিখছিল! আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম এত মানুষের মধ্যে/ এত রেগুলার ওয়েতে কী করে একটা মানুষ এ রকম একটা কিছুতে মনোনিবেশ করতে পারল! এত সামনে থেকেও আমার নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না, গানটা সে কাটছাঁট করে জাস্ট পনেরো মিনিটের মধ্যেই লেখা শেষ করল! আমি তখন আবারও বুঝলাম, মানুষ তার নিজস্ব পছন্দে শ্রেষ্ঠ। তুমি তোমার মতো করে বড়, অনেক বড়। বহু বড় হওয়ার আরো অনেক বাকি…….. পৃথিবীকে জানতে দিয়ো তুমি এই পৃথিবীর আলো……….. ?’

Leave a Reply

Your email address will not be published.