টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ছয় দশক পূর্ণ করেছেন আবুল হায়াত। দীর্ঘ এ অভিনয়জীবন নিয়ে লেখা শেষ করেছেন নিজের আত্মজীবনী গ্রন্থ। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’।
অভিনেতা জানান, তার ডাকনাম রবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সূত্রে অভিনেতার বাবা আদর করে তাকে রবি ডাকতেন। সেখান থেকেই বইয়ের নাম ‘রবি পথ’ রেখেছেন। যে গ্রন্থের মাধ্যমে আবুল হায়াত জানাবেন শৈশবের রবি থেকে আজকের আবুল হায়াতের পুরোটা পথ। এরমধ্যে লেখার কাজ শেষ। চলছে প্রচ্ছদ অলংকরণ। সেটির দায়িত্ব নিয়েছেন অভিনেতার মেয়ে সুঅভিনেত্রী ও চিত্রকর বিপাশা হায়াত।
আবুল হায়াত জানান, এই বইটি শেষ করতে টানা ১০ বছর সময় নিয়েছেন। যদিও বইটি হবে বড়জোর ৩শ পৃষ্ঠার। প্রকাশ করবে সুবর্ণ প্রকাশনী। কিন্তু এতোটা সময় লাগার কারণ কী? আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি আসলে খুবই অলস প্রকৃতির লোক। একটু লিখি, আবার ফেলে রাখি। দেখা গেল, কোনও দিন এক চ্যাপ্টার লিখেছি, কোনও দিন এক পৃষ্ঠা, তারপর বহুদিন লিখিইনি। মূলত বড় মেয়ে বিপাশার চাপে লেখাটা শেষ করতে হয়েছে। কারণ, কিছুদিন পর পর ওর তাগাদা আর নিতে পারছিলাম না। এরমধ্যে ছোট মেয়ে নাতাশা প্রকাশনীও ঠিক করে রেখেছে। বলা যায়, ওদের দুজনের চাপে পড়েই লেখাটা ১০ বছরের মাথায় শেষ করতে পারলাম।’
দুই মেয়ের লক্ষ্য ছিলো ৭ সেপ্টেম্বর বাবার ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে বইটি প্রকাশ করবেন। কিন্তু সেটি সম্ভব না হলেও, এই সেপ্টেম্বরেই ‘রবি পথ’ প্রকাশ হবে, প্রকাশনীর বরাত দিয়ে এমনটাই জানালেন আবুল হায়াত।
আত্মজীবনীতে ঠিক জীবনের কোন কোন অংশ তুলে ধরছেন আবুল হায়াত, এমন প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘জন্ম থেকে এই পর্যন্ত যেগুলো আমার মনে হয়েছে বলা দরকার, সেগুলোই লিখেছি। আসলে লিখতে গেলে বোঝা যায়, কোনটা লেখা দরকার, আবার অনেক কিছু মনে হয় না লিখলেই ভালো। আশা করছি, সবকিছু মিলিয়ে আমার পুরো যাত্রাপথ জানা যাবে এতে।’
১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন আবুল হায়াত। ১৯৪৭ সালে ট্রেনে চেপে পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন চট্টগ্রামে। মাত্র ১০ বছর বয়সে মঞ্চে ওঠেন অভিনয়ের জন্য। যে অভিনয়ের সঙ্গে এখনও নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন অভিনেতা।