কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট লাইন। ইন্টারনেটনির্ভর এই পৃথিবীতে দেশে ইন্টারনেট না থাকায় যাপিত জীবনে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একেবারেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না শোবিজ তারকারা।
বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্ভরশীলতার এই যুগে এমন পরিস্থিতি মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা আরও বাড়িয়ে তুলছে।আধুনিক সময়ে এসে দেশের এমন স্থবির অবস্থা একেবারেই কাম্য নয়। আমরা আশা কর দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। দেশ আবার আগের মতো সুন্দর ও স্বাভাবিক হবে।
তিনি আরও বলেন, কারফিউর এই সময়ে তো সব কাজ বন্ধ, বাসায় বসে বই পড়ে, টিভিতে খবর দেখে সময় কাটছে। মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে করে কিছুটা অন্ধকারজগতে বসবাসের মতো মনে হচ্ছে তাদের কাছে। ফলে তারা বেশ উৎকণ্ঠা নিয়ে বসবাস করছে। আমার কাছের অনেক মানুষের মধ্যেও এটা লক্ষ করছি।
মোশাররফ করিম বলেন, ইন্টারনেটনির্ভর এই পৃথিবীতে দেশে ইন্টারনেট না থাকায় যাপিত জীবনেও বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেকেই বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দিতে পারছেন না। ফলে তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে জীবনযাপন করছেন। তবে আমি বলব এর একটা ইতিবাচক প্রভাবও পড়েছে। মানুষের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্ভরশীলতা কমে আসছে। জীবনে নতুনভাবে উপলদ্ধি করা হচ্ছে। অনেকেই বই পড়ায় ফিরে গিয়েছে।
অভিনেত্রী সুনেরা বিনতে কামাল বললেন, এই সময় ভালো থাকাটাই অস্বাভাবিক। তবে বাসায় ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করছেন তিনি। মায়ের সঙ্গে লুডু খেলছেন কিংবা সুইমিং করেও সময় কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
দেশের অবস্থা নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘দেশের নাগরিক হয়ে বড় চাওয়া, শান্তি চাই। নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা চাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে নিয়ে সরকারকে ভালো থাকতে হবে।’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জ্বর, ঠান্ডা, কাশিতে ভুগছি, তাই কথা বলতে পারছি না।