খালিদকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না স্ত্রী-সন্তান

নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৮ মার্চ না ফেরার দেশে চলে যান কণ্ঠশিল্পী খালিদ। চাইম ব্যান্ডের এই নন্দিত শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

ওই দিন রাত ১১টার দিকে গ্রিন রোডে খালিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সোমাবার রাতেই তার নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই গায়ককে।

জানা যায়, রাত সাড়ে ৩টায় গোপালগঞ্জ শহরের বাসায় পৌঁছায় খালিদের নিথর দেহ। এর আগে সোমবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় শিল্প, সংস্কৃতিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

এসময় খালিদের ভগ্নিপতি জানান, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) যোহর নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে হবে খালিদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহরের গেটপাড়ার গোরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

তিনি আরও জানান, খালিদের স্ত্রী এবং ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে। তারা আসবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ধর্মীয় মত অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দাফন সম্পন্ন করাটাই শ্রেয়, সবার মতামত এমনটাই। তাই মঙ্গলবার দুপুরেই খালিদের দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে খালিদের বড় ভাই আছেন, তিনিই সব প্রস্তুত করছেন।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন ‘চাইম’ ব্যান্ডে। তিনি চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।

‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী।

Leave a Reply

Your email address will not be published.