জেমস, নাম শুনলেই একটি ছবি ভেসে ওঠে সবার মননে, ভেসে ওঠে এক রকস্টারের অবয়ব। যার গানে বহুরাত নির্ঘুম কেটে যায় হাজারো তরুণের, যে না থাকলে জমে না কোনো উৎসবের আসর, আজ সেই জেমসের জন্মদিন।
যার কথা বলছি তিনি দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল নগর বাউলের কর্ণধার এবং ভোকালিস্ট মাহফুজ আনাম। যিনি জেমস নামেই উপমহাদেশে পরিচিত। কিংবদন্তি এই রকস্টার শুধুই জেমস নামে নন, ভক্তদের কাছে তিনি আবার শুধুই গুরু।
চলতি মাসের ২২ তারিখে সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে রিয়াদে যাচ্ছেন তিনি। রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে গান শোনাবেন জেমস। আয়োজনটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কালচার’, এটি সৌদি সরকারের আয়োজন রিয়াদ সিজনের অংশ।
রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ভিশন–২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৮ সালে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, খুলে দেওয়া হয় সৌদির সিনেমা হলগুলো। আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে কনসার্ট, ফ্যাশন শো ইত্যাদির। এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি উদ্যোগ ‘রিয়াদ সিজন’।
সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে ৯টি দেশ। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান।
১২ অক্টোবর শুরু হওয়া ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়।
উৎসবটি শীতকালীন বিনোদনের অন্যতম আয়োজন হিসেবে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার।
আমন্ত্রিত প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক সপ্তাহ। সেখানে এসব দেশের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে ‘বাংলাদেশ উইক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
নগরবাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে আমরা প্রথমবারের মতো রিয়াদে যাচ্ছি।
আয়োজনটিতে বিনা মূল্যে গান শুনতে পাবেন দর্শক। আশা করি, ভালো একটা শো হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
শেষ গত শুক্রবার ঢাকার মাটিকাটা রোডের সেনাপ্রাঙ্গণ মিলনায়তনে গান শুনিয়েছেন নগরবাউল জেমস।
এদিন ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিয়ো না’ গান দিয়ে কনসার্ট শুরু করেন জেমস। একে একে তিনি শোনান ‘দিওয়ানা মাস্তানা’, ‘গুরু ঘর বানাইলা’, ‘মা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘মীরাবাই’, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’ ও ‘পাগলা হাওয়া’। গানের পাশাপাশি গিটারেও নৈপুণ্য দেখিয়েছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় এই রকস্টার।