নায়িকা হিসেবে শুরুটা সন্তোষজনক হয়নি। তাই কিছুটা সময় নিয়ে, নিজেকে প্রস্তুত করে, ভেবেচিন্তে আগাচ্ছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। কাজ করছেন গল্পনির্ভর প্রজেক্টে। এর মধ্যে একটি সিনেমার কাজ শেষ করলেন সম্প্রতি। নাম ‘জীবন জুয়া’।
এটি মূলত অ্যান্থলজি ফিল্ম। অর্থাৎ একই ভাবনার কয়েকটি ভিন্ন গল্পে নির্মিত একটি সিনেমা। ‘জীবন জুয়া’য় মোট তিনটি গল্প থাকছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘প্রিয় প্রাক্তন’। সেখানেই কাজ করেছেন দীঘি। তার সঙ্গে আছেন সুদীপ বিশ্বাস দ্বীপ। এটি পরিচালনা করেছেন ইফতেখার মাহমুদ ওসিন।
তিনটি ভিন্ন গল্প নিয়ে ‘জীবন জুয়া’ নামে অ্যান্থোলজি ফিল্ম নির্মাণ করছেন তিন নির্মাতা। তারা হলেন- আবুল খায়ের চাঁদ, আশুতোষ সুজন ও ইফতেখার মাহমুদ ওসিন। তাদের তিনটি গল্প যথাক্রমে ‘খোয়াব’, ‘ফিল্ম কানন’ ও ‘প্রিয় প্রাক্তন’।
যেখানে তিন জুটিকে দেখতে পাবেন দর্শক। টানটান উত্তেজনার গল্প নিয়ে নির্মিত এ সিনেমা দর্শক হৃদয়ে ঝড় তুলবে বলে আশাবাদী এ সিনেমার প্রযোজক শেখ নেওয়ীদ রশীদ।
‘জীবন জুয়া’র প্রথম গল্প ‘খোয়াব’। আবুল খায়ের চাঁদ পরিচালিত এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। এ সিনেমায় নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে ববিকে। আদর আজাদ অভিনয় করেন নায়িকার মেকআপম্যানের সহকারীর চরিত্রে। গল্পে একজন নায়িকার জীবন সংগ্রাম এবং চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে নানা প্রতিবন্ধকতা ছাপিয়ে টিকে থাকার গল্প বলবে ‘খোয়াব’।
এর দ্বিতীয় সংকলন ‘ফিল্ম কানন’। এটি একজন সিনেমা পাগলের গল্প। যার একমাত্র স্বপ্ন সিনেমার নায়ক হওয়া। স্বপ্নে বজলু পাড়ি জমায় ঢাকায়। স্বপ্নে বিভোর বজলুর দিন কাটে এফডিসির গেটে একটি সুযোগের আশায়। এই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প থেকে তৈরি হয় ‘ফিল্ম কানন’। আশুতোষ সুজন পরিচালিত এই গল্পের মূল চরিত্রে আছেন ফজলুর রাহমান বাবু ও সামিয়া অথৈ।
এক দম্পত্তি, ভালোবাসা, খুনসুটি, সংসার, অতঃপর একদিন ফিরে পাওয়া অতীত—এই নিয়ে জীবন জুয়ার শেষ গল্প ‘প্রিয় প্রাক্তন’। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও সুদীপ বিশ্বাস দীপ।