দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল শ্যাম বেনেগালের

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে যান ভারতীয় কিংবদন্তি নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।

তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতীয় চলচ্চিত্র আঙিনায়।

দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন শ্যাম বেনেগাল। এ ছাড়া কিডনিজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি তার চিকিৎসা চলছিল।  দুই বছর আগে শ্যাম বেনেগালের দুটি কিডনি নষ্ট যায়। গতকাল মুম্বাই সেন্ট্রালের ওখার্ড হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৪ ডিসেম্বর ৯০তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন শ্যাম বেনেগাল। এই রাতে নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি, দিব্যা দত্ত, রজিত কাপুরসহ ছায়াছবির জগতে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সবচেয়ে বেশি জাতীয় পুরস্কার বিজেতা হিসেবে রেকর্ড গড়েছেন শ্যাম বেনেগাল। আটটি ছবির জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার জয় করেছিলেন।

শ্যাম বেনেগালকে ১৯৭০ থেকে ১৯৮০–এর দশকের ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্মাতাদের একজন মনে করা হয়। তার সিনেমা যেমন শৈল্পিক আবেদনের জন্য সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি আলোচিত হয়েছে সাধারণ দর্শকের কাছেও। নিজেদের সিনেমায় বরাবরই ভারতীয় সমাজ নিয়ে বার্তা দিয়েছেন তিনি।

শ্যাম বেনেগাল তাঁর ছবির মাধ্যমে নাসিরুদ্দিন শাহ  শাবানা আজমি, স্মিতা পাটিল, ওম পুরী, অমরীশ পুরী, অনন্ত নাগ, সিনেমেটোগ্রফার গোবিন্দ নিহালির মতো শিল্পীদের উপহার দিয়েছেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং প্রয়াত চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

দূরদর্শনে ‘যাত্রা’, ‘কথা সাগর’, ‘ভারত এক খোঁজ’-এর মতো ধারাবাহিক পরিচালনা করেছিলেন খ্যাতনামা এই চিত্রপরিচালক। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো ‘অঙ্কুর’, ‘জুবেইদা’, ‘জুনুন’, ‘মান্ডি’, ‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’, ‘নিশান্ত’, ‘সর্দারি বেগম’।

Leave a Reply

Your email address will not be published.