সম্প্রতি শরিফুল রাজের “পরাণ” মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মাল্টিপ্লেক্সসহ একাধিক প্রেক্ষাগৃহে এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে।
রাজের মা জাহানারা বেগম এই মুহূর্তে সিলেট থেকে এসে ঢাকায় থাকছেন। ছেলের বউ পরীমণি অন্তঃসত্ত্বা। তাকে সময় দিচ্ছেন। ছেলে রাজের অভিনিত “পরাণ” নিয়ে মানুষের আগ্রহের কারণে তিনিও ছেলের বউ পরীমণিসহ রাজধানীর মহাখালীর সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটি দেখেছেন।
সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিনেমাটি দেখার পর প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে আবেগে ছেলে ও সিনেমাটির নায়ক শরিফুল রাজকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু দেন জাহানারা বেগম। এরপর কেঁদে ফেলেন তিনি।
ছেলের অভিনয় নিয়ে এ সময় তিনি বলেন, “সিনেমায় একটা সময় জেলখানায় একা একা থাকে রাজ। তখন সে অনেক কান্নাকাটি করে। ওই দৃশ্য দেখে অনেক খারাপ লাগছিল। তা ছাড়া শেষে যখন আমার ছেলেকে মেরে ফেলে, ওই দৃশ্য আমি মানতে পারিনি। খুব খারাপ লাগছিল। কান্না থামাতে পারিনি।”
তিনি আরও বলেন, “বাস্তবে রাজ একটু দুষ্টু প্রকৃতির। ওর বাবা আর আমার ওকে নিয়ে খুব চিন্তা হয়। কিন্তু যখন তার কোনো ভালো কাজ দেখি, আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। আমি হলে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ। ছবি শেষে সবাই প্রশংসা করছেন রাজের। মা হিসেবে ছেলেকে নিয়ে এভাবে প্রশংসা করতে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। রাজ যেন আরও ভালো ভালো কাজ করতে পারে, সবার কাছে দোয়া চাই।”
মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে শরিফুল রাজের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি মাকে পরাণ ছবি দেখতে হলে রেখে হাওয়া ছবির প্রচারে ব্লকবাস্টার সিনেমাসে গিয়েছিলাম। শো ভাঙার আগে মাকে আনতে যাই। হল থেকে বেরিয়ে মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন। মাকে বলছিলাম ‘কাঁদছেন কেন?’ কোনো কথা না বলে কেঁদেই যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, মা ২০–২৫ বছর পর সিনেমা হলে গেলেন।”
রাজ আরও বলেন, “এ ছবিতে কিছু রিয়েলস্টিক ব্যাপার আছে। কিছু শূন্যতা ও হাহাকারের জায়গা আছে। যদিও ওই জায়গাগুলো দুজন তরুণ-তরুণীর, তার পরও বয়স্ক মানুষকেও স্পর্শ করেছে সেসব দৃশ্য। তাই হয়তো মা এভাবে কাঁদছিলেন। তার ওপর নিজের ছেলে অভিনয় করেছে, এটাও একটা ব্যাপার।”