বিয়ে হলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে কি খবর থাকত না: ঐশ্বরিয়া

গোপনে সালমান খানের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন ঐশ্বরিয়া রায় বাচ্চন! এক সময়ে এই দুই তারকার সম্পর্ক ছিল বলিউডের আলোচনার কেন্দ্রে।

১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ছবির শুটিং থেকে প্রেম শুরু হয়েছিল সালমান ও ঐশ্বরিয়ার। এর পরেই খবর রটে যায়, তারকা যুগল নাকি গোপনে ‘নিকাহ’ সেরেছেন। এমনকি, ঐশ্বরিয়ার ধর্মান্তরের কথাও রটে যায় বি-টাউনে।

গুঞ্জন ছড়ায় লোনাভালার এক বিলাসবহুল বাংলোতে বসে সালমান ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ের আসর। উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। তবে এই সম্পর্কে মোটেই সম্মতি ছিল না প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর বাবা-মায়ের। তাই তারা নাকি এই বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন।

কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দ বাজার অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।

আনন্দ বাজার অনলাইন বলছে, বিয়েতেই শেষ নয়। সালমান ও ঐশ্বরিয়া নিউ ইয়র্কে মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়েছিলেন বলেও খবর রটে গিয়েছিল। তবে এই ঘটনাগুলির সত্যতা কখনওই প্রকাশ্যে আসেনি। গুঞ্জন হিসেবেই থেকে গেছে।

এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সবটাই মিথ্যে বলে দাবি করেছিলেন। তিনি বিয়ে করলে, গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানতে পারবে। দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী।

ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, “বিয়েটা হলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে কি খবর থাকত না? খুব ছোট আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি। আমি এমন মানুষই নই, যে বিয়ের মতো বড় ব্যাপারকে অস্বীকার করব। বিয়ে হলে, গোটা দুনিয়াকে গর্বের সঙ্গে আমার বরের সঙ্গে পরিচয় করাতাম। তা ছাড়া বিয়ে করার সময় কোথায়? এই গুজবগুলি সত্যিই হাস্যকর।”

২০০২ সালে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন ঐশ্বরিয়া ও সালমান। তবে সেই বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চা হয়েছিল বিস্তর। বিচ্ছেদের পরে দু’জনের মধ্যে প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়। এর পরে আর কখনও একসঙ্গে কাজ করেননি এই দুই সুপারস্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.