বাংলাদেশের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রেও ঝড় তুলেছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত সিনেমা ‘হাওয়া’ । এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অলিউল্লাহ সজীব বলেন, “প্রবাসী বাঙালিদের আগ্রহে কানাডা ও আমেরিকার বক্স অফিসে একটি ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত দেখেছিলাম আমরা। সে ঝড় যে এত বড় হবে, তা ছিলো আমাদের কল্পনারও বাইরে। এই আনন্দের ক্ষণে আমি টিম ‘হাওয়া’ এবং টিম ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ’কে অভিনন্দন জানাই। সে সঙ্গে উত্তর আমেরিকার দর্শকদের জানাই কৃতজ্ঞতা।”
তিনি জানান, “প্রথম ৪ দিনে ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার। এ পর্যন্ত সিনেমাটি দেখেছেন ২৫ হাজার ৪৪৪ জন দর্শক। এর আগে উত্তর আমেরিকায় সর্বোচ্চ সফল বাংলাদেশি সিনেমা ছিলো ‘দেবী’। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমার সর্বসাকুল্যে আয় ছিলো ১ লাখ ২৫হাজার ৪১৪ ডলার। ‘হাওয়া’ সেই রেকর্ড মাত্র চারদিনেই ভেঙে ফেলেছে।”
‘হাওয়া’র প্রধান নির্বাহী প্রযোজক অজয় কুমার কুণ্ডুও উচ্ছ্বসিত সিনেমাটির এমন সাফল্যে আনন্দিত, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে এই সিনেমা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে, এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গৌরবের। এমন সিনেমার সঙ্গে আমরা যুক্ত আছি, এটা দারুণ সন্মানের বিষয়।’
জানা যায়, প্রথম সপ্তাহে আমেরিকার ৭৩টি, কানাডার ১৩টিসহ মোট ৮৬টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় বাংলাদেশের ‘হাওয়া’। দ্বিতীয় সপ্তাহে বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছে এর আন্তর্জাতিক পরিবেশনা সংস্থা স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো।
উল্লেখ্য, সমুদ্রে মাছ ধরার একটি ট্রলারকে ঘিরে এগিয়েছে ‘হাওয়া’র গল্প। এর সঙ্গে আছে মিথলজি ও সম্পর্কের অণুপ্রবেশ। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল, রিজভী রিজু, মাহমুদ হাসান ও বাবলু বোস। ফেসকার্ড নির্মিত সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড।