মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তো বটেই পৃথিবীর ইতিহাসেও অন্যতম শ্রেষ্ঠ নৌ অপারেশনগুলোর একটি বলা হয়ে থাকে অপারেশন জ্যাকপটকে। অপারেশন জ্যাকপট ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নৌ কমান্ডোদের এক মরণকামড়। দেশপ্রেমে মরিয়া হয়ে সে বিপজ্জনক ও আত্মঘাতী অপারেশন কেবল হানাদারদের বুকে কাঁপনই ধরায়নি, সাড়া ফেলে দিয়েছিলো গোটা পৃথিবী জুড়ে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপট নামের এক অভিযানে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জে একযোগে গেরিলা অপারেশন চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে পাকিস্তান ও অন্য আরও কয়েকটি দেশ থেকে অস্ত্র, খাদ্য ও তেল নিয়ে আসা ২৬টি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা।
ইতিহাসের এ সফল সোনালি সময়কে সঠিকভাবে তুলে ধরতে বিশাল বাজেটের একটি সিনেমা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সিনেমাটি নির্মাণের জন্য প্রথমে দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর নাম আসলেও শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছেন কলকাতার রাজীব বিশ্বাস।
২৪ কোটি টাকা বাজেটের এই সিনেমা নিয়ে সম্প্রতি খবর প্রকাশ হয়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ।
তবে এই খবরটি সত্য নয় বলে জানালেন এ নায়ক। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে সিয়াম লিখেছেন, আমি নাকি ‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমায় অভিনয় করছি! এমন নিউজ অপ্রত্যাশিত। এটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গৌরবের জায়গা। আমি অবশ্যই এই বিষয়ে সিনেমা নির্মিত হলে এর অংশ হতে চাইবো। কিন্তু সবার আগে আমি দেখবো স্ক্রিপ্ট কেমন, নির্মাতা কে, প্রডিউসার কারা! সিনেমাটি পরিচালনা করবেন কলকাতার রাজীব কুমার বিশ্বাস। এ পরিচালকের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
সিয়াম বলেন, পরিচালক রাজীব দা’র সঙ্গে আমার হাই-হ্যালো হয়েছিল, স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসতে চেয়েছিলেন তিনি। আমার শুটিং ব্যস্ততার কারণে সেই মিটিংটাই হয়নি। এরপর প্রডিউসারের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করে আমি জানিয়ে দিয়েছি যে, এই সিনেমায় আমি অভিনয় করছি না। এরপরও কীভাবে কাস্টিংয়ে চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম থাকে, সেটিই আমার বোধগম্য না।
তিনি লিখেছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো সিনেমার সাইন করিনি আমি। দর্শকদের জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসতে চাই বলেই এই বিরতি। কাজেই দর্শকদের অনুরোধ করবো, এমন উড়ো খবরে কখনো বিশ্বাস করবেন না।