১৩ ডিসেম্বর সকালে আল্লু অর্জুনের বাড়িতে পুলিশি হানা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত সপ্তাহে পুষ্পা ২-এর প্রিমিয়ার শো-এর সময় হায়দরবাদে একটি সিনেমা হলে প্রবল ভিড় হয়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান এক মহিলা। তার নাবালক ছেলে গুরুতর জখম হয়। অভিযোগ ছিল, আগে থেকে না জানিয়ে আল্লু অর্জুন এবং তার টিম হলে পৌঁছেছিল। তারকাকে দেখার জন্য প্রবল ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এজন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় তাকে ১৪ দিনের জেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
ভারতীয় গণমাধ্যম দি ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন বলা হয়, ‘আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তারের পর গান্ধী হাসাপাতালে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক চেকআপ হয়।’
এদিকে, ৪ ডিসেম্বরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আল্লু অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীসহ তিনজনকে গত সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। আল্লু অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও সেদিন গ্রেফতার হয় সেই থিয়েটারের মালিক এম সন্দীপ ও একজন ম্যানেজার এম নাগার্জুকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে গত ১১ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছিলেন আল্লু এবং গ্রেফতার এড়াতে কিছু আইনি প্রক্রিয়া স্থগিতেরও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ পালটা জানিয়ে দেয়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে অর্জুন প্রেক্ষাগৃহে আসেন। তার আগমনের খবর তিনি আগে থেকে অবগত করেননি। প্রবেশদ্বারের বাইরে ১৫-২০ মিনিট বাইরে কাটিয়ে দেন আল্লু। এ সময় শত শত লোক তাকে দেখার জন্য ছড়িয়ে পড়ে, নিরাপত্তা দলকে ঠেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে।
অভিযোগ, অভিনেতার টিম অথবা ওই প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পুলিশকে পর্যাপ্ত তথ্য দেওয়া হয়নি। ফলে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ আগে থেকে মোতায়েন করা যায়নি। আর তারই দায় নিতে হচ্ছে আল্লু অর্জুনসহ বাকিদের। যে কারণে এখন গ্রেফতার হতে হলো তাদের।