বিচ্ছেদের বছরখানেক পর স্বামীকে নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া৷ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, শারীরিক নির্যাতন করতেন তার স্বামী। নির্যাতনে তার হাত পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছিল । স্বামীর নির্যাতনে ডিভোর্সের পথে হেঁটেছিলেন শবনম ফারিয়া ।
২০১৫সালে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচিত হন ফারিয়া-অপু । সেখান থেকে বন্ধুত্ব ও প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আংটিবদল করেন। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ধুমধাম করে বিয়ে হয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকরিজীবী হারুন অর রশীদ অপুর।
কিন্তু কাল ১৫ নভেম্বর শবনম জানালেন বিচ্ছেদ নিয়ে ভিন্ন কথা । অপুর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স দিয়েছেন তাকে । সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলমার নির্যাতনের কারণে মৃত্যু প্রসঙ্গে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই ফারিয়া কণ্ঠে শিল্পী লোপার একটি পোস্ট শেয়ার করে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করেন।
শবনম ফারিয়া জানান, মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দেড়/দুই বছর পিছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পড়ছে কিভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি, যখন কেউ জানতে চেয়েছি কি হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যাথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যাথা পেয়েছি!
ফারিয়া বলেন, কারণ আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নইলে মানুষ কি বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কিভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এত আয়োজনের প্ল্যান করছে তাদের কি জবাব দেব! কাবিনের ৩ মাস না যেতেই এত কিছু! নিশ্চই সমস্যা আমারই! আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি!
বার বার ভেবেছি কিছু হলে সবাই আমাকেই খারাপ বলবে! কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে মানুষ কি বলে তার চেয়ে নিজের ভাল থাকা আরও অনেক জরুরি! জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরি!