অবশেষে জানা গেল পরীমণির বিছানায় রক্তের কারণ

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনির সঙ্গে নায়ক শরীফুল রাজের সম্পর্ক তলানিতে পৌছেছে। দুজন এখন কারো ছায়া মাড়াতে চাচ্ছেন না। সংসার করবেন না—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই রাজের বাসা থেকে রাতের আঁধারে বেরিয়ে গেছেন পরীমনি। দুজনের পথ এখন ভিন্ন।

রাজও জানিয়ে দিয়েছেন পরীর সঙ্গে তার আর বনিবনা হবে না। তাদের সংসার আর জোড়া লাগবে না।

১ জানুয়ারি বছরের প্রথম দিনই ফেসবুকে রক্তাক্ত দাগের বিছানার ছবি পোস্ট করেন, যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে। সংসার ভাঙার গুঞ্জন আরও জোরালো হয়। একই দিন অন্য স্ট্যাটাসে পরী তার ওপর গায়ে হাত তোলার মতো অভিযোগও করেন স্বামী রাজের বিরুদ্ধে।

ঘটনার বিস্তারিত না জানিয়ে পরীমণি ছবি দুটির ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। প্রেস কনফারেন্স টুমরো…লোডিং’। যদিও পরী এখনও সেই প্রেস কনফারেন্স করেননি।

এ থেকে ধারণা করা হয়, রাজের সঙ্গে তার হাতাহাতি থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেলো সেই রক্ত ঝরার কারণ।

রাজ-পরীর বসুন্ধরার বাসার কেয়ারটেকার জানিয়েছেন নতুন তথ্য।  সংবাদকর্মীদের তিনি বলছেন, ‘পরীমণি যে রক্তের কথা বলছেন, সেটা আদতে অ্যাকুরিয়াম ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পরীর বেডরুমে রক্তমাখা বালিশের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘অনেকে ভেবেছেন, রাজ পরীমণিকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন; বিষয়টি তা নয়। অ্যাকুয়ারিয়াম রাখতে গিয়ে রক্তারক্তি হয়েছে। রাজ নিজেই অ্যাকুয়ারিয়াম সরাচ্ছিলেন। সেটি পড়ে ভেঙে রাজের হাত কেটে গেছে। ওই সময় রাজ্যও তো পাশে ছিল’।

পরী-রাজের সংসারের বিষয়ে তিনি বলেন. ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই যেমন ঝগড়া হয়, এটি তেমনই। অনেক মিলতালও দেখি তাদের মধ্যে। হঠাৎ করে কী যে হলো, বুঝতে পারলাম না! এই বাসায় মিডিয়াকর্মী প্রবেশে বেশ কড়াকড়ি। এ কারণে বাসায় মিডিয়ার মানুষ আসছেন না’।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় পরীমনি ও শরিফুল রাজের। প্রথম দেখামাত্র সাতদিনের মাথায় বিয়ে করেন তারা। বিষয়টি অবশ্য গোপন রাখেন। এরপর পরী সন্তানসম্ভবা হলে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তারা পারিবারিকভাবে আবারও বিয়ে করেন। একই বছরের ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের মা হন পরী। যার নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ। রাজের এটা প্রথম বিয়ে হলেও পরীমনির ছিল তৃতীয় বিয়ে।