বিয়ের ছয় মাস পর ৬৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে অভিনেতা রাসেল মিয়ার (৪০) বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আফরিন বর্ষা (৩০)।
গেল সপ্তাহে আদালত থেকে পুনারায় গ্রেপ্তারি পরোয়না জারি করা হয়েছে; এরই প্রেক্ষিতেই অভিনেতা রাসেল মিয়াকে খুঁজছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন আলী।
তিনি বলেন, মামলাটি গত সপ্তাহে রজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। আসামিকে ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। তবে রাসেল মিয়ার নিজস্ব ঠিকানা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে। তবে চেষ্টা চালাচ্ছি।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিবাদী রাসেল মিয়ার সঙ্গে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর আমি আমার ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করিয়া বিভিন্ন সময় বিবাদীকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নগদ দেই। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিবাদীর লোভ আরও বেড়ে যায় এবং সে নতুন সিনেমা তৈরি করিবে বলে প্রায়ই আমার নিকট হইতে যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করে। আর যৌতুকের টাকা না দিলে দ্বিতীয় বিবাহ করবে বলে আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে প্রায় সময়ই যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে।
এজাহারে বাদী আরও বলেন, আমি ভবিষ্যৎ সুখের আশায় বিবাদীর নির্যাতন সহ্য করে ঘর সংসার করিতে থাকি। এমতাবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিবাদী বাসায় আমার নিকট যৌতুক বাবদ ৬৫ লাখ টাকা দাবি করলে এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করায় সে আমাকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।
এসময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করার পর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাই।
ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে লাইভে রাসেল মিয়ার নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুমাইয়া আফরিন বর্ষা। ওই লাইভে তিনি দাবী করেন, বিয়ের তিনদিন পর থেকেই রাসেল মিয়া যৌতুকের দাবিতে তার উপর নির্যাতন শুরু করেন।
এছাড়াও তার নামে আরও ৬টি এজাহার ভুক্ত মামলা আছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, প্রথম স্ত্রীর করা মামলা ওয়ারেন্টের সন্ধ্যান মিলেছে তেজগাঁও থানায়।