আজিমপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১.৪০ মিনিটে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) তার প্রথম জানাজা হয়। এরপর দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে সম্পন্ন হয় দ্বিতীয় জানাজা। এরপর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন করা হয়।
রোববার মারা যান এই অভিনেতা। তার মৃত্যুর পর থেকেই তিনি কোন ধর্ম পালন করতেন সেই প্রশ্ন উঠেছিল। উত্তর পাওয়া গেল এফডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজার আগে।
প্রবীর মিত্রের বড় ছেলে মিঠুন বলেন, ‘আমার বাবা একটি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আমার মাকে বিয়ে করার সময় মুসলিম হয়ে (হাসান ইমাম) নাম নেন। কিন্তু তিনি যেহেতু প্রবীর মিত্র নামেই বেশি খ্যাতিমান ছিলেন, সেই কারণে এই নামটা ব্যবহার করতেন। কিন্তু যেহেতু আমার মাকে বিয়ে করে মুসলিম হয়েছেন, সেই কারণে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।’
প্রবীর মিত্রের জন্ম ১৯৪১ সালে।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ প্রবীর মিত্রের। ১৯৮২ সালে তিনি বড় ভাল লোক ছিল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।