টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রুনা খান ওজন কমানোর গল্প আগেই শুনিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে আলোচনা বাড়তে থাকে। ওজন কমানো এই অভিনেত্রী বিভিন্ন সময়ে নতুন সব স্থিরচিত্র অন্তর্জালে প্রকাশ করেও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। খুবই স্পষ্টবাদী। তাইতো ক্যামেরার সামনেও সাহসী তিনি।
দিন যতই যাচ্ছে অভিনেত্রীর বয়সও যেন কমছে। ৪১ বছর বয়সে এসেও রূপের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন রুনা। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রীর একের পর এক খোলামেলা ছবি তাক লাগাচ্ছে ভক্তদেরও।
কিছুদিন আগে মেরুন কালারের খোলামেলা গাউনে রূপের দ্যুাতি ছড়িয়েছিলেন রুনা। এবার গাঢ় খয়েরি রঙের গাউনে সাহসী লুকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন দুই পর্দার সমান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। যেগুলো মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গাঢ় খয়েরি রঙের গাউনের পর সাদা-কালো গাউনে উষ্ণতা ছড়ান রুনা। কে কি বললো এসব নিয়ে মাথা ঘামান না তিনি। তবে পরিবেশ, উপলক্ষ বুঝেই পোশাক পরেন। কিন্তু পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে একেবারেই আপস করেন না তিনি।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে রুনা খান লিখেছেন, ‘পোশাক বিশ্বকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারবে না। কিন্তু যে নারী ওই পোশাক পরবেন তিনি পারবেন।’
রুনা খানের সাহসী এই ছবিগুলোতে বিভিন্ন মন্তব্যে করেছেন অনুসারীরা। একজন লিখেছেন, নিজেকে, নিজের কাজকে ভালবাসার প্রকৃত উদাহরণ তুমি। ভীষণ ক্লাসিক।
অন্য একজন বলেছেন, আহা..নিজের সাহসে, নিজের ইচ্ছেয় নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করা !! চাট্টিখানি কথা নয়।
টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। তিনি ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ‘গহীন বালুচর’ ও ‘ছিটকিনি’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। ‘ছিটকিনি’ ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন।