‘আমাকে নিয়ে কথা বলা বন্ধ কর’

শোবিজের তারকাদের প্রতিনিয়তই নানা রকম ‍গুঞ্জনের বিপক্ষে লড়তে হয়।

আবার অনেক সত্যকে তারা গুঞ্জন বলে চালিয়েও দেন। তখন গুঞ্জন হয়ে উঠে তার আশ্রয়। তেমনি নানা রকম গুঞ্জনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় জুটি তানিয়া বৃষ্টি ও আরশ খানকে।

শোনা গিয়েছে কাজ করতে গিয়ে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। বিয়েও করেছেন তারা। বিয়ে নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য অবশ্য কখনোই পাওয়া যায়নি। এবার সম্পর্ক না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করলেন তানিয়া বৃষ্টি নিজেই।

তানিয়া বৃষ্টি দাবি করেন, আরশের সঙ্গে তার প্রেম নেই। দুজনের সম্পর্কটা অনেকটা ‘ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড’র মতো।

মাসখানেক আগেই আরশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তানিয়া বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক নাটকে জুটি হয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আমাদের সম্পর্ক খুবই ক্লোজ ছিল। আসলে ভাই-ব্রাদার টাইপের ফ্রেন্ড ছিলাম আমরা। বাসাও কাছাকাছি ছিল। ওই সময় আমাদের অনেক কাজ হয়েছে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে কাজ করছি না। সেই ফ্রেন্ডশিপ আর নেই।’

তানিয়া বৃষ্টির এই বক্তব্যে ভালোভাবে নেনন আরশ খান। ফেসবুকে অভিনেত্রীর নাম না উল্লেখ করেই তাকে ইঙ্গিত করে পরোক্ষভাবে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

যেখানে আরশ খান লিখেছেন, ‘ভাই-ব্রাদার টাইপ বলে কিছু নাই। পুসি ক্যাটস আর ভেরি ডেঞ্জারাস। যে ভালোবাসে তাকেই খামচি দেয়।’

এরপরই দু’জনের মধ্যকার সম্পর্কের ভাঙন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ভক্তদের কাছে। একসঙ্গে কাজ করাও বন্ধ করে দেন এই জুটি।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আবারও আরশ প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েন তানিয়া। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম। অনেক ভালো সম্পর্কের মধ্যে খুটিনাটি ঝামেলা হয়। সেটাই চলছে। ও (আরশ খান) আমার ওপর একটু রেগে আছে।’

রেগে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, এক সাক্ষাৎকারে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আরশের সঙ্গে কী অবস্থা? তখন বলেছিলাম, ‘আমরা খুব ভালো বন্ডিং শেয়ার করি, ঘুরিফিরি ভাই-ব্রাদারের মতো।’ সে ‘ভাই-ব্রাদারটা’ কোট করেছে। কেন ভাই-ব্রাদার বললাম, এ কারণে হয়তো রেগে আছে।

এরপর আরশের উদ্দেশে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘আমি আরশকে বলতে চাই, তোকে একদম ভাই-ব্রাদার জোনে ফেলে দিইনি। তোর জন্মদিনেও আমিই উইশ করেছিলাম। তখন ভাই-ব্রাদার বলেছিলাম। তুই আমার কাছে ওই রকম ভাই-ব্রাদার যে, তুই আমার এভরিথিং। এটা নিয়ে মেজাজ খারাপের কিছু নেই। আর হ্যাঁ, কবিতা লিখা বন্ধ কর আর আমাকে নিয়ে কথা বলাও বন্ধ কর।’