মন দেওয়া-নেওয়া তারপর চুটিয়ে প্রেম। এরপর প্রেম থেকে পরিণয়। এইতো শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের মসজিদে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক এবং লেখক, বক্তা, জনপ্রিয় ইংরেজি শিক্ষক মুনজেরিন শহীদ।
বিয়ের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন দু’জনে। আয়মানকে নিজের জীবনের ‘তারকা’ বলে উল্লেখ করেছেন মুনজেরিন। একইভাবে স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন আয়মান নিজেও।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই দম্পতি তাদের নিজ নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আরও দুইটি ছবি প্রকাশ করেছেন।
রঙিন পোশাক, চোখে চশমায় আয়মান লিখেছেন, এই হাসি, রং, উৎসবের কেবল তো শুরু! অন্যদিকে মুনজেরিন লিখেছেন, ‘তুমি আমার প্রয়োজনীয় সব রঙ’।
এই দুই তারকার ছবিতে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভক্তরা। দুজনকে বেশ মানিয়েছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা গেছে সকলকে। একই সঙ্গে আয়মান-মুনজেরিনের দাম্পত্য জীবনের মঙ্গল কামনা করেছেন শুভাকাঙ্খীরা।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তায়েবুর রহমান ও শারমিন আক্তারের পুত্র আয়মান সাদিক এবং শহীদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও মনোয়ারা শহীদের কন্যা মুনজেরিন শহীদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় হওয়ার কথা রয়েছে।
কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া আয়মান সাদিক একজন বাংলাদেশি শিক্ষা উদ্যোক্তা এবং ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব। তিনি ২০১৫ সালে ‘১০ মিনিট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটা এমন এক প্রতিষ্ঠান, যা অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং সহযোগিতা বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। এ প্রতিষ্ঠান মূলত ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয়, যা একাডেমিক সিলেবাসের আওতাভুক্ত এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতা কিভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে। আয়মান সাদিক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র।
মুনজেরিন শহীদের জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতভাগ বৃত্তি নিয়ে ইংরেজিতে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর করছেন।
মুনজেরিন শহীদ মূলত আলোচনায় আসেন ‘১০ মিনিট স্কুল’র একজন শিক্ষিকা হিসেবে। তিনি এই প্লাটফর্মে শিক্ষার্থীদের ইংরেজী শিখিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ইংরেজি শিক্ষা সম্পর্কিত তার ভিডিও বার্তাগুলো এরইমধ্যে দেশ ও বিদেশের প্রায় ২৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেছে।