বিয়ের দুই মাস পর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও সংগীতশিল্পী জিনাত শানু স্বাগতা।
দ্বিতীয় এই বিয়েটিও তিনি ভালোবেসে করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সব সময় এক রকম চলে?’
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬, সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি।’
প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাঁকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাঁকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন—‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী।
স্বাগতা বলেন, ‘আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।’