দীর্ঘ এক যুগ পর বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিবেশন করেছেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়না। ২৯ ফেব্রুয়ারি তার গাওয়া এ গানটি রেকর্ডিং করা হয়।
গানটিতে সুর করেছেন সাদেক আলী। বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে তৈরি এ গানের কথা লিখেছেন সুমন সরদার। রুনা লায়লা সংগীত পরিবেশন ছাড়াও বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের জন্য একটি সাক্ষাৎকার দেন। বাংলাদেশ বেতারে সাবেক কর্মকর্তা আবু নওশের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন। এ শিল্পীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। রুনা লায়লার গাওয়া নতুন এ গান ও সাক্ষাৎকারটি শিগগির প্রচার করা হবে।
এর আগে সব শেষ ২০১১ সালের দিকে বাংলাদেশ বেতারে একটি গান গেয়েছিলেন তিনি।
রুনা লায়লা বাংলাদেশের গর্ব ও অহংকার। তার কণ্ঠের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সংগীত জীবনে প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন বরেণ্য এ শিল্পী। বাংলাদেশের সিনেমা ছাড়াও তিনি হিন্দি ও উর্দু ভাষায় ভারতীয় ও পাকিস্তানি সিনেমায় গান গেয়েছেন।
এ ছাড়াও রুনা লায়লা পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতুন, গুজরাটি সিনেমায় গান গেয়েছেন। তার গাওয়া অসংখ্য গান প্রতিনিয়ত এ দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িতে গেলাম’, ‘বাড়ির মানুষ কয়’, ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’, ‘আমি নদীর মতো কত পথ ঘুরে’, ‘ওই দুলছে দেখো দোলনচাঁপা দুলছে’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি’, ‘ও আমার জীবন সাথী’, ‘তুমিই বড় ভাগ্যবতী’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘যখন আমি থাকব না’, ‘বৃষ্টিভেজা রাতে’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট’সহ অসংখ্য শ্রোতানন্দিত গান তিনি উপহার দিয়েছেন।
আশির দশকের শুরুর দিকে রুনা লায়লা ভারতের শ্রীনগরের একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য তহবিল গঠনের বিনা পারিশ্রমিকে গান গেয়েছিলেন। সেই হাসপাতালে আজও লেখা আছে, ‘ডোনেটেড বাই রুনা লায়লা’।