এফডিসিতে সকাল থেকে চলছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ। প্রত্যেক ভোটার ও প্রার্থীকে আইডি কার্ড প্রদর্শন ও নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে তারপরেই এফডিসিতে ঢুকতে হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ নব্বই দশকের সুপারস্টার রুবেল।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ থাকতে পারে। তবে তা মাত্র আমি মনে করি মাত্র ৫-৭ দিনের মত। এরপর তো আবার ভাই-ব্রাদার।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে কড়া নিরাপত্তা
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না ফেরদৌস-মৌসুমী
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: কে লড়ছেন কোন পদে
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
তিনি আরও বলেন, আমি ৭-৮ বার নির্বাচিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম। ৯০ সাল থেকে নির্বাচন করি। এভাবে প্রশাসনের পাহারায় নির্বাচন দেখি নাই। আমরা সবাই আনন্দ করতে করতেই ভোট দিয়েছি, চেয়েছি।
রুবেল ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, নায়ক আলমগীর বা উজ্জ্বল ভাইয়ের মত লোককে যদি আইডি কার্ড শো করে গেটে ঢোকা লাগে, তাহলে তা তো দুঃখকজনক। এককথায় এবসুলেটলি ব্যাড। এরকম হলে আমি আর নির্বাচন করবো না এরপর থেকে।
নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুরো এফডিসিজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এফডিসির নিরাপত্তার স্বার্থে এফডিসির বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি ৩১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, অভিনয়শিল্পী, প্রযোজক, পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিএফডিসির বিভিন্ন ইউনিট সদস্যদের নিজ নিজ সমিতির পরিচয়পত্র ছাড়া ভেতরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
দুপুরে বিরতি দিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে এই ভোট। পরে ভোট গণনা শেষে আজও ফলাফল প্রকাশ করা হবে।