জাতীয় চলচ্চিত্র সমিতির শিল্পী নির্বাচনে জয়ী জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাতিল করা হয়েছে । একই পদে তার বিপরীতে থাকা নিপুণের করা অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়ার পর নির্বাচনের আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার প্রার্থিতা বাতিল করে ওই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জায়েদ খান জানান, ‘এটা (প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা) আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
‘ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মৃত আপিল বোর্ড কীভাবে রায় ঘোষণা করে! আমি আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও তারা যা করেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।’
ভোটে সভাপতি পদ নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ভোটের সময় নিপুণ তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ভোট বাতিল দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন তিনি। তার কাছে পীরজাদা হারুন ভোটের দিন চুমু চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন নিপুণ। অবশ্য হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এফডিসির বৈঠকে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে তার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে জয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসে। সন্ধ্যায় বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জানান সোহানুর রহমান সোহান। এ জয়কে অভিনেত্রী নিপুণ ‘সত্যের জয়’ বলে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেন।