কয়েক বছর ধরে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে ইউনিটে থাকা প্রায় সবারই ফেসবুক পেজ, টিকটক অ্যাকাউন্ট ও ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম আছে। এসবের কারণে শুটিং সেটে স্মার্টফোনের অপব্যবহার হয়- কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।
শুটিংসেটে নাটকের ক্যামেরা ছাড়া সহশিল্পী কিংবা সহকারী পরিচালকের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ভিডিও ধারণের ঘটনা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে তাকে। পুরো ঘটনা নিয়েই বেশ বিব্রত তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকার এসব কথা বলেন প্রভা।
তার দাবি, অপেশাদার ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য যে ভিডিও ধারণ করেন তা সঠিকভাবে করা হয় না। অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘ওরা তো আর জানে না, ক্যামেরা কেমন করে ধরতে হয়, দেখা গেছে ভালগার ওয়েতে ধরছে। ওসব দেখে আমি কষ্ট পেয়েছি। আমি এখানে কাজ করতে আসছি। অভিনয় দক্ষতা দেখাতে আসছি। আমি এখানে আমার প্রোপশন (অঙ্গসৌষ্ঠব) দেখাতে আসিনি। এটা আমাকে অনেক বেশি মানসিকভাবে পীড়া দিয়েছে।’
প্রভা আরও বলেন, ‘আমি যাকে কিংবা যাদের সহশিল্পীর চেয়ে ভালো বন্ধুও মনে করতাম, তাদের কিছু কর্মকাণ্ডও আমাকে আহত করেছে। এমনও দেখেছি, কোনো কোনো সহশিল্পী আছেন, তাদের ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব আছে, ভিউ পাওয়ার জন্য শুটিং সেটে এমন কিছু অ্যাকটিভিটি করেন, যেটার কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেননি! আমারই একজন সহকর্মীকে প্রায়ই দেখেছি, অনুমতি ছাড়াই এমন কর্মকাণ্ড করেন। তার সহকারী ক্যামেরা চালাচ্ছেন, অথচ সেটা শুটিংয়ের কিছু না, যেটার জন্য বিব্রতবোধ করেছি! এসব যে সেই সহশিল্পী ইচ্ছাকৃত করতেন, তা ভিডিও ক্লিপগুলো প্রকাশের পর বোঝা যেত। ওই সহশিল্পীকে প্রায় সময় আরও অনেককের সঙ্গে এমন আচরণ করতে দেখি। এসব ভিডিও ক্লিপ ইউটিউব বা টিকটকে দেখতাম, আমাকে মানসিকভাবে খুব বিপর্যস্ত করেছে।’
বহুদিন পর ক্যামেরার সামনে হাজির হওয়া প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘অভিনয় জগতে আমি যখন কাজ করতে এসেছিলাম, তখন মনে করেছিলাম, পা ফেলতে হবে অনেক স্মার্টলি। সেই আমি একটা সময় নানা রকম পলিটিকসের শিকার হবো, মিডিয়াতে কাজ করলেই মেয়েটা খারাপ বা মেয়েটাকে অনেক কথা শুনতে হবে-এমনটা ভাবিনি। আরও কিছু বিষয় আছে।’
২০০৫ সালে মডেল হিসেবে যাত্রা শুরু করেন প্রভা। এরপর ছোট পর্দায় কাজ করে জনপ্রিয়তা পান। মাঝখানে বিরতি নিয়ে কাজ করলেও শোবিজ অঙ্গন থেকে একদমই হারিয়ে যাননি তিনি। সম্প্রতি ‘তোমারি বিরহে রহিব বিলীন’ নামে একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন তিনি।