‘কত ক্ষমতা, কত বড় বড় কথা একেকজনের’

বেফাঁস কথার কারণে নানা সময়ে আলোচনায় থাকেন শবনম ফারিয়া। তাকে নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করলেও তাতে পাত্তা দেন না এই অভিনেত্রী। এবার তিনি মুখ খুললেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না পাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কারণ প্রসঙ্গে।

২০১৮ সালের‘দেবী’ সিনেমার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান জয়া আহসান। এ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। ছবিতে অভিনয়ের জন্য পার্শ্ব চরিত্রের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কারের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। শেষ পর্যন্ত তাকে পুরস্কার ‘দেওয়া হয়নি’ দাবি করে ৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দেন ফারিয়া।

সেখানে তিনি লেখেন, ‘কত ক্ষমতা, কত বড় বড় কথা এক এক জনের। আমি আগের রাতেও বিভিন্ন জায়গায় শুনলাম, আমি “দেবী”র জন্য ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছি। জয়া আপু সেরা অভিনেত্রী আর আমি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী। পরদিন গেজেটে দেখি কোন এক বিশেষ দলের এক সদস্যের নাম।’

ফারিয়া আরও লেখেন, ‘ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড না পেয়ে আমি মারা যাই নাই, কিন্তু প্রকৃতি যখন চোখের সামনে হয়ে যাওয়া ইনজাস্টিসের বিচার করে, তা দেখতে ভালো লাগে। আশা করি, এখন শুধু ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড না, সব ধরনের রিকগনেশনই দেওয়া হবে শুধু মেধা, যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে, চাটুকরিতার জন্য না।’

অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ সিনেমার প্রযোজক ছিলেন জয়া আহসান। সরকারি অনুদানে নির্মিত ছবিটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার না পেলেও বাচসাস পুরস্কারে সেরা পার্শ্বচরিত্রের অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন ফারিয়া। যদিও ওই সিনেমার পর তাকে আর সেভাবে বড়পর্দায় দেখা যায়নি।

উল্লেখ্য, ফারিয়ার ফেসবুক পোস্টে পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়া ‘কোন এক বিশেষ দলের সদস্য’ বলে যাকে চিহ্নিত করেছেন, তিনি অভিনেত্রী সুচরিতা। ‘মেঘকন্যা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সে বছর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ‘দেবী’ ছবিতে আরও অভিনয় করেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, ইরেশ জাকের, অনিমেষ আইচ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.