বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার জয়ী শাহাদুজ্জামানের গল্প অবলম্বনে ‘কমলা রকেট’ নির্মাণ করেছেন নূর ইমরান মিঠু। ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
‘কমলা রকেট’ নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন শাহাদুজ্জামান। সেখানের সিনেমা ও নির্মাতা মিঠু সম্পর্কে মন্তব্য করেন তিনি।
মিঠু সম্পর্কে বলেন, “পিঁপড়াবিদ্যা’ চলচ্চিত্রে প্রথম দেখি নুর ইমরান মিঠুকে। পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, মিঠুর মতো অপেশাদার এক অভিনেতাকে তার ছবির প্রধান চরিত্রে নির্বাচন করে একটা চমক সৃষ্টি করেছিলেন। ‘পিঁপড়াবিদ্যা’ ছবিটির অভিনবত্ব ছিল এর বিষয় ভাবনাতেও। ছবিটি আমার ভালো লেগেছিল। সে ছবিতে মিঠু ভারতীয় পেশাদার সহঅভিনেত্রীকে পাল্লা দিয়েছে ভালো একটুকু মনে আছে।”
জানান, সেই মিঠুকে ভুলেই গিয়েছিলেন। তিনি কি-না একদিন দেখা করতে এলেন শাহাদুজ্জামানের সঙ্গে। কেন?
লেখকের ভাষ্যে, “সেই সাথে জানায় সে তার প্রথম ছবি করতে চায় আমার গল্প নিয়ে। কথা বলে টের পাই আমার প্রতিটি গল্প, উপন্যাস তার খুঁটিয়ে গভীরভাবে পড়া, এও বুঝতে পারি বিশ্ব চলচ্চিত্র বিষয়েও তার জানাশোনা ভালো। মিঠু জানায় সে আমার ‘মৌলিক‘ এবং ‘সাইপ্রাস‘ নামের ভিন্ন দুটো গল্পকে মিলিয়ে একটা স্ক্রিপ্ট দাঁড় করাতে চায়। আমাকে অনুরোধ করে চিত্রনাট্য লিখে দেবার জন্য।”
আরো বলেন, “মিঠু একটা পুর্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রই তৈরি করতে চায়। রাজী হই এবং ওর সঙ্গে মিলে একটা স্ক্রিপ্ট তৈরি করি। চিত্রনাট্য করতে গিয়ে মুল গল্পের কাহিনী কাঠামো থেকে সরে আসতে হয়েছে অনেকটুকু। ছবির নাম দেই ‘কমলা রকেট’। রকেট নামে পরিচিত বৃটিশ প্রবর্তিত কমলা রঙের স্টিমারগুলো এখনও যাত্রী বহন করে বেড়াচ্ছে খুলনা, বরিশাল রুটে। বহুবার গেছি সেই স্টিমারে। ‘কমলা রকেট’ সেই স্টিমারের এক যাত্রারই গল্প। একটা জাহাজ যেন একটা ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। একটা গল্পের ভেতর অনেকগুলো গল্পের জ্বালামুখ। বাংলাদেশ যে নানা স্তরের ক্রান্তির ভেতর দিয়ে পথ কেটে যচ্ছে এটা তারই গল্প।”
ছবিটির চুড়ান্ত ভার্সন দেখে শাহাদুজ্জামানের মনে হয়েছে মিঠু তার গল্পকে সত্যিকার চলচ্চিত্র ভাষায় বদলে দিতে পেরেছেন।