কলকাতার আর জি কর-কাণ্ডে সরব বাংলাদেশের তারকারা

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসক মৌমিতা দেবনাথকে ধর্ষণকাণ্ডে গোটা ভারতজুড়ে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। টলিউড, বলিউড তারকারাও এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ করছেন।

এবার কলকাতার এই আন্দোলনে সংহতি জানালেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদে সংহতি এবং বাংলাদেশে আগের প্রতিটি ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, নাজিফা তুষিসহ অনেকে।

মৌমিতার ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এমন মৃত্যু যেন আর কোথাও কারও না হয়!’

আন্দোলনের সময়কার একটি প্ল্যাকার্ড শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘আপনি যদি আপনার মেয়েকে “খারাপ” স্পর্শ সম্পর্কে শিক্ষিত করেন, তবে নিশ্চিত করুন যে আপনার ছেলেও এটি সম্পর্কে জানে।’

আন্দোলনের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। সেই ভিডিওতে এক নারীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ছোটবেলায় সন্তানকে প্রথম হওয়ার দৌড়ে নামিয়ে দেই আমরা। কিন্তু কোথাও মূল্যবোধ শেখানো হচ্ছে না। পরিবার থেকেও শেখানোর চেষ্টা করা হয় না। এই কারণে এমন অপরাধ বেড়েই চলেছে। সবাইকে ছোটবেলা থেকে শেখানো উচিত মেয়েদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়, সম্মান করতে হয়।’

অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা আন্দোলনের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘জাস্টিস ফর হার।’ সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা লেখেন, ‘এটা কখনোই শেষ হবে না, যতক্ষণ না আপনি আপনার ছেলেকে নিরাপদ থাকতে শেখানোর পরিবর্তে একজন ভালো মানুষ হওয়া শেখান। পরিবর্তনটা শুরু হোক আপনি এবং আপনার বাড়ি থেকেই। প্রতিটি মৌমিতার নিজের জীবন যাপন করার অধিকার আছে। ঢাকা থেকে কলকাতা—মৌমিতার জন্য আওয়াজ তুলুন।’

কলকাতার আর জি কর-কাণ্ডে আওয়াজ তুলেছেন অভিনেতারাও। অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, ‘নারীদের প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। কোনো অজুহাত নয়! এখনই থামুন।’

চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী লেখেন, ‘মনুষ্যত্বের মর্ম মরণ। কী ভয়ংকর মর্মান্তিক! আমি নিতে পারছি না, মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কারও মা, কারও বোন, কারও প্রিয়জন, এমনকি পৃথিবীর কোনো নারীই যেন আর কখনো এমন ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার না হয়। আমার কাছে মনে হয়, পৃথিবীতে এমন কোনো শাস্তি তৈরি হয়নি, যার মাধ্যমে এই বোনটির আত্মা শান্তি পাবে। এই নরপিশাচদের এমন কোনো শাস্তির দাবি করি, যেটা বিকৃত মানসিকতার প্রতিটি পুরুষের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.