খারাপ লাগার কিছু নেই: জায়েদ খান

সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়ক জায়েদ খানের। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য পদ বাতিল হয়েছে তার। আর এ বিষয়টি নিয়ে বেশ মনোক্ষুন্ন তিনি। এফডিসিতে যখন নির্বাচনের হাওয়া বইছে ঠিক তখনই সদস্য পদ হারালেন পরপর দুইবার সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব করা জায়েদ। প্রায় ১৮ বছর ধরে সমিতির সদস্য ছিলেন তিনি।

শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল, ভোট প্রয়োগ করতে পারবে না, খারাপ লাগছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, খারাপ লাগার কিছু নেই। আমি সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়েও পদে বসতে পারিনি, এর চাইতে তো খারাপের কিছু হতে পারে না। অবৈধ ব্যক্তির অবৈধ সিদ্ধান্তে আমি বিচলিত নই।

২ মার্চ বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির পিকনিক মঞ্চে দ্বিবার্ষিক সভায় সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল অনুমোদন হয়। তার আগে ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিংয়ে সদস্যপদ বাতিলের এ সিদ্ধান্ত আসে।

তার সদস্যপদ বাতিলের খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান বিষয়টি অবৈধ বলে প্রতিবাদ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি সমিতিকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। আমি ব্যক্তি নিপুণকে বলেছি। এখনো বলছি, তিনি একজন নির্লজ্জ মানুষ। পরাজিত হয়েও এত দিন সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে ছিলেন। এ কারণেই আমি তাঁর বিরুদ্ধে বলেছি। এটি সমিতির গঠনতন্ত্রের মধ্যে পড়ে না।’

ঢাকাই ছবির এই নায়ক আরও বলেন, ‘আমার সদস্যপদ বাতিলের জন্য মাত্র একটি চিঠি দিয়েছে সমিতি। সেটিও অবৈধ মনে করি। কারণ, চিঠিটিও নিপুণ স্বাক্ষরিত ছিল। যিনি নির্বাচিতই নয়, সে আমাকে চিঠি দিতে পারেন না। তা ছাড়া এই পদের মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে। তারপরও আমি চিঠির উত্তর দিয়েছি। আমার চিঠি পাওয়ার পর চূড়ান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুটি চিঠি সমিতির আমাকে দিতে হবে। কিন্তু কোনো চিঠি দেয়নি। শুনলাম, পিকনিকে ইসি কমিটির সিদ্ধান্তের লিখিত চিঠি পাঠ করেই আমার সদস্য বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু সেখানে সাধারণ সদস্যদের হাত তুলে মতামত লাগে। সেটিও তো দেখলাম না। বড় কথা, পিকনিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে এভাবে দ্বিবার্ষিক সভা করা আগে সমিতির কোনো কমিটির বেলায় দেখিনি। পুরো প্রক্রিয়াটিই অবৈধ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.