সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টায় ঢালিউড অভিনেতা জায়েদ খানসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে মো. শাহরিয়ার ইমাম আসিপ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল হত্যাচেষ্টায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। এ হত্যাচেষ্টার হামলায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়, সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
রোববার রাতে নিজের নামে মামলার কথা জেনেছেন অভিনেতা। একজন শিল্পী হিসেবে এমন মামলার কথা শুনে তিনি অবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কানাডা থেকে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বিস্মিত, আমি হতবাক। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জায়েদ বলেন, ঢালাওভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সত্যিকারের অনেক অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। আমাদের টেনে ধরার জন্য এ মামলা। আমি হলফ করে বলতে পারি, কোনো মিছিল-মিটিংয়ে কোনো দিন ছিলাম না। দেশের ক্ষতি হয় রাষ্ট্রদ্রোহী এমন কোনো কাজ করিনি। সেগুলো যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমার নামে মামলা করতে পারেন। আমি ক্ষতি করে থাকলে তার জন্য প্রস্তুত; কিন্তু সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে স্বাধীনতার প্রতি আস্থা থাকবে না।
জায়েদ জানান, দেশের একটি পরিবর্তন এসেছে। সেখানে সবাই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইবে। সবার নাগরিক অধিকার থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে; কিন্তু উদ্দেশ্য হাসিলে কারও ক্যারিয়ারে বাধা হলে, শিল্পাঙ্গন কখনই এগিয়ে যেতে পারবে না।
মামলা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার; কিন্তু আমি কখনই অতিরঞ্জিত বা বিতর্কিত কোনো কিছু করিনি; কিন্তু গতকাল দেখলাম, আমার নামে মামলা। ৯ বছর আগে আমি নাকি হত্যাচেষ্টায় গাড়ি ভাঙচুর করেছি। সেই সময়ে তো শত শত সাংবাদিক ছিলেন, এটা নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যদি থাকতাম, তাহলে তো তখনই খবরের শিরোনাম হতাম। এখন ঢালাওভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে শিল্পীদের নামে মামলা দেওয়াটা আমি সমর্থন করি না।
জায়েদ বলেন, শিল্পীদের নামে এভাবে সাজিয়ে মামলা হলে মিডিয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে। কাজের সুস্থ পরিবেশ থাকবে না। দেশের সম্মানের স্বার্থে এমন মামলা বন্ধ করা হোক।