চিকিৎসার জন্য ছেলেকে ভারতে নিয়ে গেলেন পরীমণি

শীতের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়ি বরিশাল গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সময়টা বেশ কাটালেও ফেরার পথে রাস্তার পাশের একটি ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনে খেয়েছিলেন। তাতেই যেন অসুস্থতা ভর করল নায়িকার। বাদ গেল না পরীর ছোট্ট ছেলেও। অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। টানা কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও সুস্থ না হওয়ায় ছেলে পদ্মকে নিয়ে উড়াল দিলেন কলকাতায়।

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে পরীমণি তার সন্তান পদ্মকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গেছেন। তাদের সঙ্গে পদ্মর দীপু মামা গেছেন। ভিসা না থাকার কারণে আমি সঙ্গে যেতে পারিনি। তবে বিমানবন্দর পর্যন্ত গিয়েছিলাম।

পরীমণির ছেলের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে চয়নিকা বলেন, পরীমণির পুরো পরিবার তো ফুড পয়জনিংয়ের শিকার হয়েছিল। এ ঘটনার ৭ দিন পরেও এখনও সুস্থ হননি পদ্ম। বাচ্চাটার শরীরে দুইটি ভাইরাস ধরা পড়েছে। সেজন্যই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে গেছেন পরীমণি।

এর আগে ১৪ জানুয়ার ফেসবুকে এক পোস্টে অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়েছিলেন পরীমণি।

তিনি লেখেন, শীতকালে সবাই খাবার-দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেইফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দু-একটা বাইট নিয়েছিল। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়িচালকসহ বাসার মোট পাঁচজন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হসপিটালে। সবাই মোটামুটি রিকভার করলেও পুণ্য এখনো হসপিটালাইজড।

তিনি আরও লিখেছিলেন, নানু বাড়ি থেকে ভীষণ রকম গুড এনার্জি নিয়ে ফিরেছিলাম। জমে থাকা কাজগুলো একটানা শেষ করব ভাবছিলাম। গতকাল আমার ওয়েব ফিল্ম ‘কাগজের বৌ’র প্রেস মিট ও প্রিমিয়ার ছিল এফডিসিতে। থাকতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হচ্ছিল খুব। কিন্তু সকাল থেকে অনেক সাংবাদিক ভাই, বন্ধু মেসেজে এবং ফোনে ‘কাগজের বৌ’র প্রশংসা করলেন! আমার, তায়েব ভাই, ইমনের নতুন ক্যামেস্ট্রি আর অভিনয়ের ভালোলাগা প্রকাশ করলেন! আমার পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী মেসেজে লিখলেন ‘কি যে সুন্দর ছবি বানিয়েছি নিজেরই তো বিশ্বাস হচ্ছে না!’। আমার বেশ আনন্দ হচ্ছে এসবে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সুস্থ থাকবেন সবাই।