ছয় সিনেমা হলে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত হয়েছে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’। ৬ আগস্ট শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী প্রদর্শনীর হয়েছে। এরপর থেকেই দর্শকদের মুখে মুখে রয়েছে। সিনেমাটির ট্রেইলারও আলোচনায় আছে বেশ কিছুদিন ধরে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দেশের ছয়টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।

শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে শিশুতোষ ঘরানার ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে যারা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন তারা তাদের সেই বয়সের যাপিত জীবনকে নস্টালজিক আবহে তৈরি হয়েছে─ এমনটাই বলছেন পরিচালক। সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর আমাদের নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা। ছবিটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের নামকরণ করা হয়েছে ‘সামার হলিডে’।

কারো সাথে মিশতে না পারা আট বছর বয়সী একটি শহুরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে, খুঁজে পায় বন্ধুত্ব্ব আর রোমাঞ্চের স্বাদ তারই আখ্যান এ ছবি।

২৬ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত রাশিয়ার চেবাক্সারিতে অনুষ্ঠিত হয় ‘চেবাক্সারি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। এতে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে ছবি। গেল ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ‘জগজা নেটপ্যাক এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে’ ছবিটির আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়ান পার্স্পেক্টিভ বিভাগে ছবিটির আরও একটি প্রদর্শনী হয় সেখানে। এছাড়াও আর্জেন্টিনার ‘ইউবিএ আন্তর্কজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের’ ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম কম্পিটিশন’ বিভাগে এবং স্পেনের ‘বার্সেলোনা ইন্ডি ফিল্মমেকার্স ফেস্ট‘ থেকেও অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছিল ছবিটি।

প্রথম সপ্তাহে স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স), ব্লকবাস্টার সিনেমাস (যমুনা ফিউচার পার্ক), লায়ন সিনেমাস (কেরানীগঞ্জ), সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম) এবং সিনেস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ) সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাকার। দ্বিতীয় সপ্তাহে এ তালিকায় আরও কিছু নতুন প্রেক্ষাগৃহ যুক্ত হবে বলেও জানা গিয়েছে, এছাড়া দেশের বাইরেও সিনেমাটির বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু হবে চলতি মাসের শেষদিকে ।

সিনেমাকার প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটির পিছনে রয়েছে দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের গল্প। খুব ছোট একটি কারিগরী ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে গাজীপুরের হারবাইদ সংলগ্ন প্রায় পঁচিশ-ত্রিশ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকেশনে ধারণ করা এই চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন নির্মাতা নিজেই, সাথে ছিলেন ম্যাক সাব্বির। প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি সাউন্ড ডিজাইনও করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছে লিয়ন, জুবায়ের, আরিফ, হালিমা ও তানজিল। আরও ছিলেন ফাতেমা, কামরুজ্জামান কামরুল, আব্দুল হামিদ প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির প্রধান সহকারী পরিচালক যুবরাজ শামীম।