জন্মদিনে গল্প-আড্ডায় মাতলেন কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা

গত ১৭ নভেম্বর ছিল উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে বর্তমান প্রজন্মের কয়েকজন সংগীতশিল্পীকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রুনা লায়লা তার ঢাকার আসাদ অ্যাভিনিউর বাসা ড্রিম হাউসে দাওয়াত দেন। সন্ধ্যায় একে একে হাজির হন সবাই।

অতিথি হিসেবে সংগীতশিল্পীদের মধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাপ্পা মজুমদার, কনা, ইমরান, কোনাল, সাব্বির, কিশোর, রাশেদ, লিজা, ইউসুফ, ঝিলিক, লুইপা এবং প্রবাসী শিল্পী রাজা কাশেফ ও রুবাইয়াত জাহানকে। আমন্ত্রিত ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধ্রুব মিউজিকের ধ্রুব গুহ প্রমুখ।

গল্প, আড্ডা ও গানে গানে মধ্যরাত পর্যন্ত রুনা লায়লার সান্নিধ্যে সময় কেটেছে শিল্পীদের। রুনার বাড়িতে কাটানো এই সন্ধ্যা জীবনের স্মরণীয় একটি সন্ধ্যা হয়ে থাকলো বলে জানালেন সবাই।

রুনা লায়লার বাড়ির সেই আড্ডাকে জীবনের অন্যতম ভালো লাগার মুহূর্ত হিসেবে মনে করছেন কিশোর। এই সংগীতশিল্পী তাঁর ফেসবুকে দেয়ালে সেই আড্ডার স্থিরচিত্র ও ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘গানে–গল্পে ঘোর লাগা একটা সন্ধ্যা কাটল জীবন্ত কিংবদন্তি “রুনা লায়লা” আপার বাসায়, তাঁর আমন্ত্রণে। তাঁর মুখে শোনা হলো ৬০ বছরের গানের জীবন থেকে কিছু কিছু মুহূর্তের কথা। তাঁর দেওয়া উপহারও পেলাম…! রাতে চমৎকার ডিনারের পর শুরু হয় গানের আসর। আমরা সবাই গান গাইলাম, গাইলেন তিনিও…!’

সংগীতশিল্পী লুইপা তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গতকাল দিনটা ছিল জীবনের একটা দারুণ সুন্দর দিন। প্রিয় রুনা ম্যাম হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসা দিলেন। তিনি জানেন, কী করে ভালোবাসতে হয়। নিজের জন্মদিনে উল্টো আমাদের উপহার দিলেন এবারও। ২০২০–এর জন্মদিনে তিনি আমাকে নিজের সুর করা গান উপহার দিয়েছিলেন। মানুষটাকে সবাই জানি উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী, আর ভেতরের মানুষটা যেন শিশুর মতো কোমল। অন্যকে ভালোবেসে নিজে খুশি হয়, আনন্দ পায় এমন মানুষ এখনো আছে। ভালোবাসা দেওয়া–নেওয়া চলুক হাজার হাজার বছর। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ম্যাম।’

এই সন্ধ্যার অনুভূতি প্রকাশ করে সংগীতশিল্পী ইউসুফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মোটামুটি কারও সাথেই যোগাযোগ নেই কিছুদিন ধরে..। শুধুমাত্র একটা মানুষের কথা সবকিছুর থেকে আলাদা… তিনি রুনা লায়লা জি…। তাঁর চোখের স্ক্যান মেশিন ভয়ানক, একটা পলকই যথেষ্ট …বলে শেষ করা যাবে না এমন ভালোবাসা আর আবদারের জায়গার কথা। গতকাল আমরা ছোটরা গিয়েছিলাম..। যাঁকে দেওয়ার কথা উপহার আমাদের, উল্টো তিনি উপহার দিলে কেমন লাগতে পারে? জানি না..।’

সংগীতশিল্পী সাব্বির লিখেছেন, ‘কিছু মুহূর্ত আছে, যার আনন্দ ও প্রাপ্তি কোনো দিনও বর্ণনা করা যাবে না। আমাদের বাংলাদেশের গানের রানি রুনা লায়লা আপার বাসায় আপার আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম। আপা নিজে আমাদের আদর করে খাওয়ালেন, অনেক আড্ডা দিলেন, একসাথে আমাদের সাথে গাইলেন এবং আমাদের সবাইকে তার পছন্দের উপহার দিলেন। জীবনে এমন সম্মানের ও আনন্দের মুহূর্ত খুব কমই আসে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.