আবারও চিত্রনায়ক জায়েদ ও নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে অভিযোগ করলেন ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তার দাবি, এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল। কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধেই এ সিনেমা শুরু করেন তিনি। তা না হলে এই ছবির কোনো পরিকল্পনা তার ছিল না। প্রযোজকের দাবি, ‘জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে ফাঁসিয়ে দিল তাকে।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেশের শিল্পীকে অপমান করবে, সেটি আমি একজন সিনেমার মানুষ হয়ে মেনে নেব না। কারণ আমার দেশকে অন্য দেশের মানুষ এসে ছোট করতে পারেন না। আজ মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল পরিচালকের সঙ্গে করত, আরেক দিন হয়তো ইউনিটের অন্য কারোর সঙ্গে করত। সেটি হতে দেব না। এর সমাধান না হলে কাজ আর করব না, যা ক্ষতি হয় হবে।’
অন্যদিকে জায়েদ খান বলেন, ‘এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থায় ভরা ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার কথা ও কাজে মিল নেই।’
এ প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ঢাকা চলে এসেছি। এর পর শুনেছি, ৭ সেপ্টেম্বরও কারা যেন ছিলেন হোটেলে। সেই টাকা তো আমি দেব না। কারণ আমার শুটিং প্যাকআপ হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। আর জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? আমি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি। পারিশ্রমিকের মধ্যেই জায়েদ খানের ড্রেসের টাকা ধরা হয়েছে। এত সব মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এই ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করব।’
গত ২৯ আগস্ট তাজু কামরুলের পরিচালনায় সায়ন্তিকা ও জায়েদ খানকে নিয়ে ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিং শুরু হয় কক্সবাজারে। এক সপ্তাহ টানা শুটিং করে ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে গেছেন সায়ন্তিকা। শোনা যায়, একটি গানের দৃশ্যের সময় নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু না বলে সায়ন্তিকার হাত ধরে গানের দৃশ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কারণেই নাকি নায়িকা চটেছেন। পরবর্তী সময় গানের কাজ শেষ না করেই দেশে ফিরে গেছেন এই নায়িকা।