সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘ডেডপুল টু’। ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে কমেডি ও অ্যাকশনে ভরা এই ছবি। মাত্র দুটো সিনেমাতেই বাকি সুপারহিরোদের পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার নিরিখে অনেকটা ওপরে চলে গিয়েছে ডেডপুল।
কলকাতার এবেলা জানায়, ‘ডেডপুল’ কয়েক বছর আগে ডিসি কমিকসের চরিত্র ছিল। পরে জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় ছেঁটে দেওয়া হয়। শুনে অবাক হলেন কি? একটু বিশদে বলা যাক তাহলে।
১৯৮০ সালে ডিসি-র ‘দ্য নিউ টিন টাইটানস’ কমিকসে প্রথম আবির্ভাব হয় ডেথস্ট্রোকের। তবে তাকে ডেথস্ট্রোক না বলে ডেডপুলই বলা ভালো। কারণ নাম ও পোশাকে সামান্য পরির্তন ছাড়া চেহারা, সুপার পাওয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুজনের হুবহু মিল।
ডেডপুল চরিত্রটিকে মার্ভেল কমিকস ১৯৯১ সালে প্রকাশ্যে আনে। অর্থাৎ ডেথস্ট্রোকের জন্মের ১১ বছর পরে ডেডপুলের আবির্ভাব।
ডেথস্ট্রোক একজন খলনায়ক। টাকার বিনিময়ে গলা কাটতে কসুর করত না। কিন্তু এই চরিত্রটি সেই সময়ে জনপ্রিয়তা পায়নি। ফলে ডেথস্ট্রোক নিয়ে কাটাছেঁড়া করা বন্ধ করে দেয় ডিসি।
১১ বছর পরেই মার্ভেল কমিকসেই সিরিজে জীবিত হয়ে ওঠে সেই ‘ডেথস্ট্রোক’। একেবারে অন্য নামে, পোশাকে সামান্য পরিবর্তন। তবে হ্যাঁ সিনেমার ডেডপুলের জোকস বলতে বলতে অ্যাকশন করার বিশেষ ‘গুণ’ কিন্তু ডেথস্ট্রোকের মধ্যে ছিল না। বলা যায়, কমিকসে খলনায়ক ও গুরুগম্ভীর চরিত্র হিসাবেই পরিচিত ছিল ডেথস্ট্রোক। সেখান থেকে ডেডপুল একেবারে কার্যত নতুন অবতারে হাজির হয়েছে।
তবে শুধু ডেডপুলই নয়। মার্ভেল ও ডিসির অনেক নামজাদা ‘খেলোয়াড়’ও দলবদলের লিস্টে রয়েছে। কে নেই সেই তালিকায়! উলভারাইন, আয়রনম্যান, হাল্ক থেকে শুরু করে মার্ভেলের ভিলেন চরিত্র থ্যানোসও রয়েছে। এদের কাউকে হয়তো বাজে পারফরমেন্সের জন্য ছেঁটে ফেলা হয়েছে, কারো বা নাম ও জার্সি বদলিয়ে অন্য অবতারে হাজির করানো হয়েছে।
তার একটা তালিকা পাওয়া যাবে নিচের ভিডিওতে। এর বাইরে এমন প্রচুর হিরো রয়েছে, যারা মার্ভেল থেকে ডিসি কিংবা ডিসি থেকে মার্ভেলে ‘দলবদল’ করেছে। কিন্তু সব সময় যে এইসব কপি ক্যারেক্টার সাফল্য পেয়েছে, তা নয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কপি করেও লাভ হয়নি।