ফের বিতর্কের মুখে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ইতোমধ্যেই ভোটের ফল স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট করেছেন তিনি।
নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ফল স্থগিত চেয়ে নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগ এনেছেন নিপুণ। আক্রমণ করে কথা বলেছেন নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকেও। অভিনেত্রী বলেছেন, আদালতেই নির্বাচিত কমিটিকে মোকাবেলা করবেন তিনি।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিপুণের বক্তব্যের জবাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। যেখানে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, সদস্য পদ বাতিল হতে পারে নিপুণের।
বিষয়টি নিয়ে ডি এ তায়েব বলেন, গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন নিপুন। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।
নিপুণের রিট এবং তার সদস্যপদ চলে যাওয়া নিয়ে যখন সারা দেশে চর্চা হচ্ছে, তখনই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন এই নায়িকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতে উঠেছে, সেখানেই দেখা যাবে এটা নাটকীয় না রিয়েলিটি।
ডিএ তায়েবের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, আমি ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না। তিনি কি অভিনেতা, একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন- তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে যেটি বলেছেন, আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।
চিঠি দেওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে সদুত্তর না পেলে এই নায়িকার সদস্যপদ বাতিল করা হবে- এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।