বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু সাংস্কৃতিক ভুবনেরও পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের প্রিয় বন্ধু ছিলেন। শাকিব তার প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে দীপুকে নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন শাকিব। যেখানে স্মৃতিচারণ করেছেন বন্ধুর সঙ্গে কাটানো মূহুর্তগুলোর।
দীপুর একটি ছবি পোস্ট করে শাকিব লিখেছেন, এইতো কিছুদিন আগে তোর অফিসে নিয়ে গেলি, তোর সন্তানের এনিমেটেড সিনেমার কাজ দেখালি; আগামীতে কত কি করতে চাস সেইসব স্বপ্নের কথাগুলো বললি। সেই তুই হঠাৎ করে সবাইকে চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলি! তুই নেই সেটা মানতে এখনো আমার কষ্ট হচ্ছে।
আমি যেখানে থাকতাম কিছুদিন পর পর ফোন করে খবর নিতি। কেমন আছি, কবে আসব, কবে দেখা হবে, কত কিছু জানতে চাইতি। সেই তোকে যখন মর্গে গিয়ে দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল একটু পরেই উঠে দোস্ত বলে ডাক দিবি। যেমনটা দেখা হলেই তোর বন্ধুত্ব আর ভ্রাতৃত্বের পরম ভালোবাসা আমি অনুভব করতাম।
যে বনানীর রাস্তা দিয়ে আমরা বহুবার একসঙ্গে যাতায়াত করেছি, সেখানে তোকে চিরদিনের জন্য সমাহিত করা হয়েছে। দূর থেকে শুধু তোর নিথর দেহকে দেখেছিলাম। তোর চলে যাওয়ায় আমি যে স্বজন হারানোর শূন্যতা অনুভব করছি সেটা বলে বোঝানোর উপায় নেই।
বন্ধু হিসেবে তোর ভালোবাসার শূন্যতা আমার জীবনে কখনো পূরণ হবে না। কারণ তুই যে কত বড় মনের অধিকারী এবং ভালো মানুষ ছিলি সেটা তোর শেষ বিদায়ে মানুষের ঢলই বলে দেয়। যতদিন বেঁচে থাকব তোকে খুব মিস করব রে দীপু। ওপারে অনেক ভালো থাকিস বন্ধু আমার। তোর বিদেহী আত্মার শান্তি ও দোয়া কামনা করি। মহান আল্লাহ তোকে জান্নাতবাসী করুন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দীপু)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। যদিও আওয়ামী লীগ থেকে দীপু মনোনয়ন পাননি। তার বাবা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মনোনয়ন পেয়েছেন।