তৌহিদ আফ্রিদির বউ বিভ্রাট, আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন শ্যালিকা!

গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিয়ের সাজের একাধিক স্থিরচিত্র দেখা যায়। জানা যায়, রাইসা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেছেন তিনি। তবে আজ শুক্রবার তৌহিদ আফ্রিদির বউ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, তাঁর বউ রাইসা নন, রিসাকে বিয়ে করেছেন—সম্পর্কে রাইসা আর রিসা যমজ বোন। তাঁদের বাবা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা লেফট ব্যাক মোহাম্মদ সোহেল আল-মাসুম। তিনি ২০১৫ সালে প্রয়াত হয়েছেন।

আফ্রিদি ও রিসার একটি ফটোকার্ড মাইটিভি তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে, এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে আছেন তৌহিদ আফ্রিদি। একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফ্রিদির বাবা নাসির উদ্দিন সাথী। আফ্রিদির বিয়ের এই নিউজ ফটোকার্ড ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে রাইসা আল রোজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সে আমার যমজ বোন (রামিসা আল রিসা), আমি নই, আমি বিবাহিত।’

এদিকে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তিকর তথ্যে বেশ বিরক্ত আফ্রিদির শ্যালিকা রাইসা। এ বিষয়ে দেশের একটি গণমাধ্যমকে রাইসা বলেন, তিনি ও রামিসা আল রিসা দুজন যমজ। গত বছর তার বিয়ে হয়েছে। আফ্রিদির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বোন রিসার।

একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে আফ্রিদির বিয়ের বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ প্রথমে প্রকাশ্যে আসে। সেখান রাইসাকে টিকটক স্টার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং আরও জানানো হয়—দীর্ঘদিনের প্রেমের পর এক হলো দুজন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বুলিংয়ের শিকারও হতে হয়েছে রাইসাকে।

রাইসা বলেন, দেখুন, আমি আর আমার বোন কেউই টিকটক স্টার না। আমাকে টিকটকে দেখেছে, এমন মানুষও আপনি তেমন খুঁজে পাবেন না। তবে হ্যাঁ, আমি ব্র্যান্ড প্রমোট করি। কিন্তু ২০২৩ বিয়ে এবং এরপর মা হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলাম না। আমার পরিবার, স্বামীর পরিবারের একটা ভালো পরিচিতি আছে। এরপরও এমন বুলিং কাম্য নয়।

যেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এসব করা হয়েছে, সেসবের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে উল্লেখ করে রাইসা বলেন, পরিবারের কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষের উপস্থিতিতে কাবিন হয়েছে। আমরা চাচ্ছিলাম, আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর সব সামনে আসুক।

কিন্তু একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বিয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত সামনে এসেছে। এরপরই অনেকে ভুল তথ্য দিয়ে সেগুলো ভাইরাল করেছেন। আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আফ্রিদির বিয়ে নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা চর্চা চলছিল ঠিক তখন আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা গেছে গোপনে বিয়ে করেছি। বিষয়টি তা নয়। বিয়েতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শুধুই কাবিন হয়েছে। মূল অনুষ্ঠান তো পরে করা হবে। আর আমি তো দেখতে গিয়ে বিয়ে করেছি।

তরুণ প্রজন্মের এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানান, তার স্ত্রীর বোন টিকটক করেন। দুজনই দেখতে অনেকটা একইরকম। এ জন্য অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী রামিশাকে টিকটকার মনে করছেন।

বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েকে দেখতে গিয়ে তাদের বাড়িতে বিয়ে করে ফেলেছি। পারিবারিক আয়োজনেই হয়েছে তা। আর সেই আয়োজনে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার অনুষ্ঠান করা হবে।

রাইসা ও রামিসার বাবা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা লেফট ব্যাক মোহাম্মদ সোহেল আল-মাসুম। তিনি ২০১৫ সালে প্রয়াত হয়েছেন।