‘ঢাকা অ্যাটাক’খ্যাত নির্মাতা দীপংকর দীপন এবার নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা। তার প্রথম সিনেমাটি ছিল পুলিশের অভিযান নিয়ে। এবার র্যাবের অভিযান নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করবেন তিনি। নতুন ছবিটি নাম ‘অপারেশন সুন্দরবন’। সুন্দরবনের জলদস্যুমুক্ত করার এক আশ্চর্য উপাখ্যান নিয়ে নির্মিত হবে সিনেমাটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর অভিজাত রেস্টুরেন্টে সিনেমাটি নির্মাণের জন্য র্যাব ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও প্রয়োজনা প্রতিষ্ঠান থ্রি হুইলারসের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম, কিংবদন্তি অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও র্যাবের এডিজি (অপস) জাহাঙ্গীর আলম।
নতুন ছবি প্রসঙ্গে দীপংকর দীপন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে একসময় জলদস্যুদের অবাধ বিচরণ ছিল। ফলে সুন্দরবন ছিল সাধারণ মানুষের জন্য ভয়ের একটি জায়গা। এমনকি সুন্দরবনের জেলে, মৌয়ালও জীবিকা নির্বাহের জন্য মাছ ধরতে ও মধু সংগ্রহ করতে পারতেন না। এখন সুন্দরবন দস্যুশূন্য। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের চৌকস বাহিনীর একের পর এক দুঃসাহসিক অভিযানের কারণে। সেই সব অভিযানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হবে আমার নতুন ছবি।’
মুশফিকুর রহমান গুলজার এসময় চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য র্যাবকে ধন্যবাদ জানান। তিন বলেন, ‘চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসার জন্য র্যাবকে সিনেমার সকল মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে র্যাব আগেও ভূমিকা পালন করেছে। চলচ্চিত্রের অশ্লীলতা ও পাইরেসি রোধে র্যাব বড় ভূমিকা পালন করেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘দীপংকর দীপনের প্রথম ছবি ছিল সফল। তাই তাকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। তাই এই কাজটি তার জন্য চ্যালেঞ্জ। আমার বিশ্বাস তিনি তার দ্বিতীয় ছবি নির্মাণেও সফল হবেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাবের মহাপারিচালক ড. বেনজীর আহমেদ সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করায় র্যাবের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে সুন্দরবনে র্যাবের অভিযানের ওপর নির্মিতব্য সিনেমার প্রশংসা করেন। সিনেমাটি যেনো পুরোপুরি উপভোগ্য করে নির্মাণ করা হয় সেজন্য নির্মাতাকে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা তাদের বক্তব্যে দীপংকর দীপনের নতুন সিনেমার জন্য শুভ কামনা জানান। ভবিষ্যতে এরকম ছবি আরও নির্মাণের আহ্বান জানান তারা।
এদিকে ছবির কেন্দ্রিয় চরিত্রের নাম জানানো হয়নি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে। সূত্রের খবর, এই ছবিতে এবিএম সুমন কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন। এর আগে সুমন একই পরিচালকের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে দেশের স্পেশাল ফোর্স ‘সোয়াট’র সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও সম্ভাব্য অভিনয়শিল্পী হিসাবে থাকতে পারে তাসিকন, তারিক আনাম খান ও রোশান।
পরিচালক জানালেন বর্তমানে সিনেমাটির চিত্রনাট্যের কাজ চলছে। এ বছরেরই অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ শুটিং শুরু হবে।