সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির। বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে কি সেই কারণ। তাহলে ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক। দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও দুটি ওয়েব চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন দীঘি। শুটিং হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাতারা শুরু করতে পারছেন না। একে তো সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তার ওপর আবার হরতাল-অবরোধ।
নির্বাচন শেষ না হলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই দীঘির। অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই তার। এখন বেশির ভাগ সময়ই কাটছে ঘরে বসে। গতকাল বেইলি রোডের একটা স্টুডিওতে নিজের পোর্টফোলিও শুট করেছেন।তবে সিনেমার শুট না করা পর্যন্ত ভালো লাগছে না তার।
দীঘি বলেন, ‘সেই ছোটবেলাতেই দাঁড়িয়েছি ক্যামেরার সামনে। শিশুশিল্পী হিসেবে পেয়েছি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মা ছিলেন অভিনেত্রী, বাবাও অভিনেতা।
শুটিং শব্দটার সঙ্গেই আমার বেড়ে ওঠা। মাঝখানে বিরতি দিয়ে যখন নায়িকা চরিত্রে ফিরলাম, তার পর থেকে টানা শুটিং করেছি। অনেক দিন পর আবার ঘরে বসে সময় কাটাচ্ছি। যদি এমন হতো, আমার কাছে প্রস্তাব নেই, তাহলে একটা ব্যাপার ছিল। চুক্তিবদ্ধ হওয়া ছবির শুটিং না হলে খারাপ তো লাগবেই।চারটি প্রজেক্টের কোনোটারই ঘোষণা দিতে পারছি না।’
অভিনয়-মডেলিংয়ের পাশাপাশি দীঘি স্টেজ শোও করছেন নিয়মিত। বিশেষ করে ডিসেম্বরেই অন্তত ১০-১৫টি স্টেজ শো করেন তিনি। এবার সেটাও হচ্ছে না।
দীঘি বলেন, ‘আয় হোক আর না হোক, ব্যয় তো থাকেই। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বড় একটা আয় আসে এসব স্টেজ শো থেকে। সেটা বন্ধ হওয়ায় আমার মতো অনেকেই আর্থিক অনটনে আছেন। বিষয়টি আমার সঙ্গে শেয়ারও করেছেন কয়েকজন।’
সামনের সপ্তাহে বার্জার পেইন্টসের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং করার কথা। সেটা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন দীঘি। যদি এটাও পিছিয়ে যায় হরতাল-অবরোধের কারণে!
দীঘি বলেন, ‘শোবিজের সবাই এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। কবে শুটিং করবেন, ইনডোর না আউটডোর এসব নিয়েও প্যাঁচ লাগছে নির্মাতাদের। আউটডোরের শুটিং তো চাইলেও ইনডোর করা যায় না। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।’
অন্যান্যবার ডিসেম্বরের আগেই থার্টিফার্স্ট নাইটের স্টেজ শো করার প্রস্তাব পান। আজ ৫ ডিসেম্বর, এখনো কোনো শো চূড়ান্ত করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত শো হবে কি না তা নিয়েও দ্বিধায় আছেন।
দীঘি বলেন, ‘এর মধ্যেই দুবাই থেকে একটা শোর প্রস্তাব এসেছে। তবে আমি কিছু শর্ত দিয়েছি। সেগুলো মানলে এবারের থার্টিফার্স্ট নাইট হয়তো দুবাইতেই কাটবে আমার।’