না ফেরার দেশে আমজাদ হোসেন।

অবশেষে চলে গেলেন ররেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭মিনিটে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইনালিল্লাহ… রাজিউন)।

এ কিংবদন্তির মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী এবং চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

১৮ নভেম্বর আমজাদ হোসেন ব্রেইন স্ট্রোক করে খাট থেকে পড়ে গেলে তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অসুস্থতার তিনদিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তিনি তার পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকা দেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়।

জামালপুরে ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জন্ম নেন আমজাদ হোসেন। ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ১৯৬১ সালে রুপালি পর্দায় তার আগমন। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় তিনি বেশি সময় দেন। ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘খেলা’। বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র চিত্রনাট্য লেখায় জহির রায়হানের সঙ্গে আমজাদ হোসেনও ছিলেন। গান লেখায়, চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া সরকার তাকে একুশে পদকেও ভূষিত করে।

‘নয়নমনি’, ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলদা’, ‘কসাই’ প্রভৃতি তার পরিচালিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র। তিনি চিত্রপরিচালক ছাড়া একাধারে একজন লেখক, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার ও অভিনয়শিল্পী ছিলেন।