এইটুকু আত্মসম্মানবোধ আপনাদের থাকা উচিত: সাংবাদিকদেরকে সাবা

‘আলো আসবেই’ কথাটি দেশের মানুষ এখন বহুল পরিচিত। এ নিয়ে কথা উঠলেই সামনে আসে শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপে গোপন গ্রুপের কথা! যা তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে।

যেখানে যুক্ত হয়ে শোবিজের একদল শিল্পী অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকারের পক্ষে। সেই দলেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।  গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। যা নিয়ে শোবিজ থেকে শুরু করে সামাজিকমাধ্যমে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। অনেকেই আবার এই গ্রুপে থাকা শিল্পীদের বয়কট করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

‘আলো আসবেই’ গ্রুপ কাণ্ডে আলোচনায় আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন সাবা।

বুধবার (২ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের কমেন্টে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে সাবা বলেছেন, আমার ফেসবুকের স্টেটমেন্ট কোন পারমিশন ছাড়া পত্রিকায় বা অনলাইনে নিউজ করবেন না।

তিনি আরও বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল। এখানে আমি যা লিখবো তাই যদি নিউজ করে চলতে হয় আপনাদের, তবে বুঝে নেন আপনাদের কি বেহাল অবস্থা!

এরপর নিজের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে অনেক সাংবাদিককে ছেঁটে ফেলেছেন উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, আমার জানা মতে ২-৩ জন মিডিয়াকর্মী বাদে সকলকেই প্রোফাইলের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে ডিলিট করেছি বা করবো। আপনারাও সকলে মিলে আমাকে বয়কট করুন। নিজেদের এইটুকু আত্মসম্মানবোধ আপনাদের থাকা উচিত!

এর আগে সেই স্ট্যাটাসে পূজা মণ্ডপের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে সোহানা সাবা লেখেন, আমার বড় খালামনির বাড়ি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পাশেই। প্রতি বছর পূজাতে আমরা সব কাজিনরা মিলে মন্দিরে গিয়ে নাচ করি, প্রসাদ খাই। বাড়িতে ফিরে নামাজ রোজা মিস হয়নি কারোই।

তবে এবার আর পূজায় যাবেন না উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, এ বছর যাব না। আর কোনদিনই যাবো না হয়তো। আমার মুসলিম ভাইরা মন দিয়ে পাহারা বসেছে দেখে গর্বে বুকটা ভরে গেছে, সে কারণেই। ভালো থাকবেন আপনারা সকলেই। সকল বাংলাদেশের মানুষরা…।