বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা শাহনূর।
তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যকরী পরিষদের পরপর তিনটি মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে তাঁর পদটি শূন্য করেছে কমিটি।
শাহনূরের স্থলাভিষিক্ত হয়ে শপথ নিয়েছেন চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি। কিন্তু শিল্পী সমিতির এ সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন শাহনূর।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।
গত রোববার শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং শেষে সভাপতি মিশা সওদাগর মুক্তিকে শপথ পড়ান। এ তথ্য জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও মুক্তি। এ সময় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মিটিং শেষে সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব জানিয়েছেন, বেশ কয়েক মাস ধরে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই শাহনূরের। নিয়ম অনুযায়ী অনুপস্থিতির জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু একটি চিঠিরও কোনো উত্তর না পাওয়ায় তাঁর অনুপস্থিতিতে পদটি শূন্য থাকে। সেখানে চিত্রনায়িকা মুক্তিকে স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।
ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস নিউইয়র্কের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন শাহনূর। আর সেখান থেকেই শিল্পী সমিতির এ সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন তিনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের অনুমতি নিয়েই তিনি সেখানে গিয়েছেন। এ ছাড়া একাধিক সদস্যের সঙ্গেও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।
পোস্টে শাহনূর লিখেছেন, ‘আমি ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস নিউইয়র্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, তারা আমাকে আমেরিকার নিউইয়র্কে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছে। এ জন্য গত তিন মাস আমি কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমেরিকা আসার আগে, আমি আমার সম্মানিত সভাপতি মিশা সওদাগর ভাইয়ের পারমিশন (অনুমতি) নিয়ে এসেছি। এ ছাড়া জয় চৌধুরী, নানা শাহ ভাই, সনি রহমানসহ অনেকের সঙ্গে আমার সব সময় কথা হচ্ছে। তাহলে কেন বলা হচ্ছে যে আমি কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি?’
এ চিত্রনায়িকা আরও লিখেছেন, ‘আর শুধু আমি একাই মিটিংয়ে যায়নি এমন না, আপনারা একটু লক্ষ করলে দেখবেন যে গত ভিডিও লিংক দেওয়া মিটিংয়েও মাত্র ৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, শিল্পী সমিতির কোনো মিটিংয়ে ২১ জন সদস্য উপস্থিত হতে পারেন না, নানা কারণে। শিল্পী সমিতির অনেকের সঙ্গে আমার অনেকবারই যোগাযোগ হয়েছে। তা ছাড়া আমার সম্মানিত প্রিয় শিল্পীরা, তাঁদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে কার্যকরী সদস্য বানিয়েছেন। শিল্পী সমিতির সব মিটিংয়ে আমি সব সময় থাকার চেষ্টা করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মিশা সওদাগরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।