চলচ্চিত্র তারকা খ্যাতির বাইরেও যারা আলাদা করে উপস্থাপক হিসেবে নজর কেড়েছেন তাদের অন্যতম ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করতে দেখা যায় তাদের। আবারও নতুন আয়োজনে উপস্থাপনা করবেন তারা। ঘোষিত হয়েছে ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম। ১৪ নভেম্বর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করবেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা।
পূর্ণিমা জানান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থাপনার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার কথায়, ‘আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিটিভি থেকে। আমি সম্মতি জানিয়েছি। আমার সঙ্গে উপস্থাপনা করবেন ফেরদৌস। এর আগেও আমি এই মঞ্চে সঞ্চালনা করেছি। চলচ্চিত্রের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির এই অনুষ্ঠানটি আমি সব সময়ই উপভোগ করি। এখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থাকেন, থাকবেন অনেক বিশিষ্টজন। চেষ্টা করব, সবার জন্য উপভোগ্য একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে।’
ফেরদৌস বলেন, ‘উপস্থাপনার জন্য আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত হতে আরও দু-এক দিন লাগবে। আমি খুবই উপভোগ করব জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সঞ্চালনার দায়িত্ব পেলে। আশা করি, পূর্ণিমার সঙ্গে রঙিন ও প্রাণবন্ত একটি অভিজ্ঞতা হবে।’
৩১ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৭ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলী এবার জাতীয় চলচ্চিত্রের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘হাওয়া’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তাকে সেরা নির্বাচিত করা হয়েছে। অন্যদিকে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন যৌথভাবে জয়া আহসান (বিউটি সার্কাস) ও রিকিতা নন্দিনী শিমু (শিমু)।
আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী খসরু ও রোজিনা। আর যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে মুহাম্মদ আব্দুর কাইউম প্রযোজিত সিনেমা ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও মো. তামজিদ উল আলম প্রযোজিত ‘পরাণ’। ‘শিমু’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হয়েছেন সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন।