১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী নিরিহ বাঙালিদের উপর হামলা চালায়, নির্বিচারে হত্যা করে অসংখ্য মানুষ। গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটতরাজের মাধ্যমে বাঙালির চেতনাবোধকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। অন্য দিকে বাঙালিরা সমস্ত নির্যাতন সহ্য করে নিজের প্রস্তুত করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্থন করতে বাধ্য হয়। হানাদার মুক্ত হয় বাংলার আকাশ-মাটি । বাঙালির বুকের ভিতরে লালিত স্বপ্ন সার্থক হয় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার মাধ্যমে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে এটিএন বাংলায় ১৬ই ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৫.৩০টায় প্রচার হবে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ’। রওনক জাহানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন আমজাদ কবীর চৌধুরী।
১৯৭১ সালের সভা-সমাবেশ, মিছিল কিম্বা শুধু মাত্র কাগজ কলমে লিখনীর মাধ্যমে আমদের মহান বিজয় অর্জিত হয়নি। এর সাথে যুক্ত ছিল রাজনীতি, সাংস্কৃতি, সাহিত্য তথা সাধারণ মানুষের সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং নানা ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা এমনকি সমর্থন করায় এদেশের অনেক সাধারন মানুষকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। তাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে যা রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ এবং প্রত্যক্ষ্যদর্শদের ঘটনার বর্ণনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ’ শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রটি। অনুষ্ঠনটির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের নেপথ্যে কতটা ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে এদেশের সাধারণ মানুষকে।