প্রেক্ষাগৃহে মুখোমুখি দীঘি-অপু বিশ্বাস

একদিকে ভাষা ও ভালোবাসার মাস, আবার সদ্য শুরু হয়েছে বসন্ত। আর এই সুন্দর সময়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহে উঠেছে নতুন দুটি সিনেমা। একটি চিত্রনায়ক নীরব ও নায়িকা অপু বিশ্বাস অভিনীত ‘ছায়াবৃক্ষ’; অন্যটি প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও গাজী আবদু নূরের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’। মজার ব্যাপার হলো, দুটি সিনেমার প্রেক্ষাগৃহ সংখ্যা সমান; ২৩। আবার দুটি সিনেমাই পেয়েছে সরকারি অনুদান। ফলে পর্দার লড়াইটা হচ্ছে সমানে-সমানে!

ছায়াবৃক্ষ:

২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল ‘ছায়াবৃক্ষ’ ছবিটি। চা শ্রমিকদের জীবনের অবর্ণনীয় সংগ্রামের গল্পে এটি নির্মাণ করেছেন বন্ধন বিশ্বাস।

ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন কাজী নওশাবা, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, ডন, এলিনা শাম্মি ও আজম খান। তানভীর আহমেদ সিডনির কাহিনি ও চিত্রনাট্যে এটি নির্মিত হয়েছে অনুপম কথাচিত্রের ব্যানারে।

ছবিটি নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেছেন, ‘আমি তো রোমান্টিক নায়িকা। সব সময় বাণিজ্যিক ছবি করেছি। এটা এমন একটি ছবি, যেটার জন্য আমাকে গায়ের রঙ কালো করতে হয়েছে, চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়েছে। আর আমার ও নীরবের রসায়ন কেমন হয়েছে, সেটা বিচারের দায়িত্ব দর্শকের ওপর ছেড়ে দিলাম।’

রোমান্টিক গল্পে নূর ও দীঘি:

‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে বড় হওয়া নাবিল ও মৌয়ের গল্প। নাবিল দেশে এসে মৌয়ের প্রেমে পড়ে। অন্যদিকে তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সহজ–সরল পরোপকারী ছেলে শুভ। তাদের ভালোবাসার গল্প নিয়েই এগিয়ে যেতে থাকে সিনেমা। ইমদাদুল হক মিলনের একই নামের উপন্যাস থেকে নেওয়া গল্পে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।

২০২০-২১ সালে এটি অনুদান পায়। এতে জুটি বেঁধেছেন গাজী আবদুন নূর ও দীঘি। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আবদুস সামাদ।

উপন্যাস হাতে পেয়ে মৌয়ের চরিত্রটি কঠিন মনে হয় দীঘির কাছে। প্রথম দিকে চরিত্রটি নিয়ে দোটানায় ছিলেন। পরে পরিচালকের সহযোগিতায় সিনেমায় অভিনয় করেন। দীঘি বলেন, ‘আমি চরিত্রটি নিয়ে খুশি। দর্শক সিনেমাটি পছন্দ করবেন আশা করি। মৌ নামের ভিন্ন একটি মেয়ের গল্প। যার প্রেমে পড়বেন দর্শক।’

সিনেমা নিয়ে প্রথমবার অপু বিশ্বাসের মুখোমুখি হচ্ছেন—এমন প্রশ্নে দীঘি বলেন, ‘একসময় অপুদির সঙ্গে আমার অনেক সিনেমা রিলিজ হয়েছে। সেখানে আমি থাকতাম শিশু চরিত্রে। অপুদি নায়িকা। এবার আমাদের দুজনের সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। বেশ একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে। অপুদির সিনেমাটিই দর্শক আগে দেখুক, পরে আমারটা দেখুক।’

এদিকে সিনেমাটির পোস্টার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনাও হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে চান না পরিচালক আবদুস সামাদ। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি হলে এসে দেখুন। আমি বিভিন্ন সিনেমা হলে থাকব। সিনেমাটি নিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিরা আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন।’

সিনেমাটির প্রধান চরিত্রের অভিনেতা গাজী আবদুন নূর রয়েছেন দেশের বাইরে। যে কারণে নিয়মিত প্রচারেও থাকতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘তাঁরা তাঁদের মতো চেষ্টা করেছেন। আমি একটু কাজে দেশের বাইরে। শেষ মুহূর্তে প্রচারে থাকতে পারিনি। আশা করব দর্শক সিনেমাটি ভালো ভাবে নেবেন।’

‘ছায়াবৃক্ষ’র হল তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকার প্রধান প্রেক্ষাগৃহগুলো পেয়েছে এটি। এর মধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, জয় সিনেমাস, সৈনিক ক্লাব অন্যতম।

অন্যদিকে ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ পেয়েছে সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখার সঙ্গে শ্যামলী সিনেমা, বিজিবি সিনেমার মতো প্রেক্ষাগৃহগুলো।