‘আলো আসবেই’ নামে শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হয়েছে সম্প্রতি। যেই গ্রুপে গ্রুপে নজর রাখা হতো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ওপর। শুধু তাই নয়, সেখানে তারা আলোচনা করত কোথায়, কী করবে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খোলা এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি।
গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।
গ্রুপের সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। যিনি আন্দোলনকারীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেবার মতো কথা বলেছেন। সেসব কথার স্ক্রিনশট সোশ্যালে ভাইরাল হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন মানুষ।
জানা গেছে, বর্তমানে কানাডাতে অবস্থান করছেন অরুণা বিশ্বাস। সরকার পতনের পরপরই দেশত্যাগ করে কানাডা পাড়ি জমান তিনি। সেখান থেকেই সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
যেখানে অরুণা দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এতকিছু ঘটে গেছে, সেটা তিনি জানতেন না। আর গরম জল ঢেলে দেওয়ার বিষয়টিও সেভাবে বলতে চাননি, যেভাবে এখন ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচ দিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় যে বাচ্চাদের এতকিছু হয়েছে জানতান না।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আসলে আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা কিন্তু সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি। ছাত্রদের কথা না।’
গরম জল ঢালা প্রসঙ্গে অরুণার ভাষ্য, ‘বলা হচ্ছিল, হাসপাতালে আগুন লেগেছে। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধ হয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।’