অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫টি দেশে শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর একযোগে একইদিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তুমুল আলোচিত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। ধাপে ধাপে যোগ হবে আরও প্রায় ৮ থেকে ১০টি দেশ।
পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমাটি মুক্তির একদিন আগে বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মলের স্টার সিনেপ্লেক্সে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো প্রিমিয়ার শো।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি। বিশেষে অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন; বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার); তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন; অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি, এন্টি টেররিজম ইউনিট) মো. কামরুল আহসান বিপিএম(বার); স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অব অপারেশন্স মালিক মোহাম্মদ সাঈদ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার) পিপিএম(বার)।
এছাড়া ‘মিশন এক্সট্রিম’র দুই পরিচালক সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা ‘মাসলম্যান’খ্যাত চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে ২০১৮-এর জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, অভিনেতা সুমিত সেনগুপ্ত, মাজনুন মিজান, সুদীপ দীপ ও দিপু ইমামসহ সিনেমাটির অন্যান্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
অনুষ্ঠানে ‘মিশন এক্সট্রিম’র অন্যতম পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, ‘সিনেমা মানে স্বপ্ন। কিন্তু বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সিনেমা মানে একটি যুদ্ধের প্রতিরূপ! পুরো ইন্ডাস্ট্রি এই যুদ্ধে লিপ্ত। ‘মিশন এক্সট্রিম’ সেই যুদ্ধ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মুক্তি পেল।’
চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল ‘মিশন এক্সট্রিম’। এই সিনেমায় আমার এবং পুরো টিমের অনেক ত্যাগ রয়েছে। দর্শক আজ তা পর্দায় দেখছেন। দর্শকদের বলবো, সবাই ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেখবেন এবং দেখে ভালো লাগলে অন্যদেরও দেখতে বলবেন।’
‘মিশন এক্সট্রিম’র আরেক পরিচালক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘প্রথম সিনেমা, প্রথম সন্তানের মতো। মনের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। কয়েকটা বছর রাত-দিন এক করে সিনেমাটার জন্য কাজ করেছি। এবার দর্শকদের মূল্যায়নের পালা।’
কপ ক্রিয়েশনের ব্যনারে নির্মিত ‘মিশন এক্সট্রিম’র প্রথম পর্ব মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৩ ডিসেম্বর। এটি ৪টি মহাদেশের প্রায় ৫টি দেশে বাংলাদেশের সাথে একই দিনে একযোগে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
চলতি বছর বাংলাদেশের বিজয়ের পঞ্চশ বছর পূর্তিতে ‘মিশন এক্সট্রিম’ মহাসমারহে মুক্তি পাচ্ছে দেশের পঞ্চাশ হলে। পুরো সিনেমা টিমের জন্য এটি গৌরবের বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
গত ১৮ নভেম্বর খুলনার ‘শঙ্খ’ ও ‘চিত্রালি’ দিয়ে শুরু সিনেমাটির হল বুকিং পর্ব শুরু হয়। এরপর একে একে আরও ৪৮ হলে প্রথম সপ্তাহে ‘মিশন এক্সট্রিম’ মুক্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়েছে।
বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরও রয়েছেন- তাসকিন রহমান, সাদিয়া নাবিলা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, ইরেশ যাকের, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, রাশেদ মামুন অপু, এহসানুল রহমানসহ অনেকে।
কুল নিবেদিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) সানী সানোয়ার নিজেই। সিনেমাটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।
দেশের যেসব সিনেমা হলে ‘মিশন এক্সট্রিম’ মুক্তি পাচ্ছে
স্টার সিনেপ্লেক্স(বসুন্ধরা শপিং মল, পান্থপথ; সীমান্ত সম্ভার, ধানমন্ডি; এসকেএস টাওয়ার, মহাখালী ও সনি স্কয়ার, মিরপুর-১)। ব্লকবাস্টার সিনেমাস (যমুনা ফিউচার পার্ক), মধুমিতা (ঢাকা), শ্যামলী (ঢাকা), চিত্রামহল (ঢাকা), গীত (ঢাকা), বিজিবি (ঢাকা), আনন্দ (ঢাকা), চাঁদমহল (কাঁচপুর), গুলশান (নারায়ণগঞ্জ), মনিহার (যশোর), রাজ (কুলিয়ারচর), মধুবন সিনেপ্লেক্স (বগুরা), সিনেমা প্যালেস (চট্টগ্রাম), সুগন্ধা (চট্টগ্রাম), নন্দিতা (সিলেট), তামান্না (সৈয়দপুর), সত্যবতী (শেরপুর), পূরবী (ময়মনসিংহ), মডার্ণ (দিনাজপুর), চন্দ্রিমা (শ্রীপুর), শাপলা (রংপুর), শঙ্খ (খুলনা), চিত্রালী (খুলনা), বর্ষা (জয়দেবপুর), রূপকথা (পাবনা), অভিরুচি (বরিশাল), সেনা অডিটোরিয়াম (ঢাকা ক্যান্ট.), নিউ গুলশান (জিঞ্জিরা), মম ইন সিনেপ্লেক্স (বগুরা), তুলি (নাভারণ), পূর্ব্বাশা (শান্তাহার), রাজিয়া (নাগরপুর), বনলতা (ফরিদপুর), মিলন (মাদারীপুর), সিলভারস্ক্রিণ সিনেপ্লেক্স (চট্টগ্রাম), ঝংকার (পাঁচদোনা), মালঞ্চ (টাঙ্গাইল), মাধবী (মধুপুর), রুটস সিনে ক্লাব (সিরাজগঞ্জ), সেনা অডিটোরিয়াম (সাভার ক্যান্টনমেন্ট), সোনালী (টেকেরহাট), রুনা (চালাকচর), নবীন (মানিকগঞ্জ), মোহন (হবিগঞ্জ), কথাচিত্র (কটিয়াদি) ও রজনী (চন্দ্রা/কালিয়াকৈর)