অভিনেত্রী ও বিশিষ্ট নাট্যজন সুবর্ণা মুস্তাফা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠন করার পর এ দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন তিনি।
২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় সুবর্ণা মুস্তাফাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার পর ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ইমিগ্রেশন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, সুবর্ণা মুস্তাফা থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে এসেছিলেন। সেখানে তাকে আটকে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুবর্ণা মুস্তাফাকে যেতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট (BG-388) যোগে ব্যাংকক গমনের উদ্দেশে সকালে বিমানবন্দরে পৌঁছান সুবর্ণা মুস্তাফা ও বদরুল আনাম সৌদ। এরপর দুজনে চেকইন ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে উড়োজাহাজে ওঠার জন্য লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিলেন। বিষয়টি বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার নজরে এলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, সকালে বোর্ডিং শুরুর ঠিক ৫ মিনিট আগে অভিবাসন পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাদের জানান, সুবর্ণা মুস্তাফার ব্যাপারে এনএসআই (জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) থেকে পর্যবেক্ষণ আছে। সে কারণে তাকে দেশের বাইরে যেতে দিতে পারছেন না।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকার কল করা হলেও ধরেননি সুবর্ণা মুস্তাফা।