মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার ডিএমপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানো এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির চেষ্টা ও দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মেঘনা আলমকে আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি আরও জানায়, মেঘনা আলমকে অপহরণ করা হয়নি। তিনি আইনের আশ্রয় গ্রহণের পূর্ণ অধিকার রাখেন।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের ঠিক আগে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। লাইভটি প্রায় ১২ মিনিট চলার পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তা ডিলিট হয়ে যায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনাকে আদালতে হাজির করা হলে, বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারা অনুযায়ী, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মেঘনাকে আটক রাখা আবশ্যক মনে হওয়ায় তাকে এই আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মেঘনা আলম ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। তিনি পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি ও বিক্রয়ের মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলার উদ্যোগে সক্রিয় ছিলেন।