মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি পেলো ‘ভাইজান’ ও ‘সুলতান’, এ মাসেই মুক্তি

প্রথমে যৌথ প্রযোজনায় মুক্তির আবেদন করেছিল— ‘সুলতান’ ও ‘ভাইজান এলো রে’। আবেদন খারিজ হলে ‘সাফটা’ চুক্তির আওতায় আমদানির চেষ্টা। কিন্তু বাধ সাধে নিপা এন্টারপ্রাইজ। তাদের করা রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বড় উৎসবে যৌথ ও আমদানি করা সিনেমা মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

ঈদুল ফিতরে নানা বাধার কারণে মুক্তি দিতে না পারলেও সিনেমা দুটির আমদানিকারক এ মাসেই মুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। ‘ভাইজান এলো রে’ ২০ জুলাই ও ‘সুলতান’ ২৭ জুলাই টার্গেট। ইতোমধ্যে তারা তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র হাতে পেয়েছে। জমা পড়েছে সেন্সরে। ফলশ্রুতিতে সিনেমাগুলো মুক্তিতে বাধা নেই।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের ‘চলচ্চিত্র আমদানি-রফতানি কমিটি’-তে ‘ভাইজান এলো রে’র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এন ইউ এন্টারপ্রাইজ গত ২৮ মে অনাপত্তির জন্য আবেদন করে। ২১ জুন মন্ত্রণালয় মৌখিক অনুমতি দেয়। অন্যদিকে ‘সুলতান’ আমদানি করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

সিনেমাগুলো গত বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই মন্ত্রণালয়ের অনুমতির চিঠি হাতে পেয়েছে। ‘ভাইজান এলো রে’ আমদানির সাথে সংশ্লিষ্ট পরিচালক অনন্য মামুন তারকা সংবাদকে বলেন, “ভাইজান এলো রে’র পাশাপাশি ‘সুলতান’ও আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আমাদের এফডিসি থেকে অনাপত্তি পাওয়া বাকি ছিল। সেটিও আজ (১০ জুলাই) হাতে পেয়েছি। ভাইজান গতকালকে সেন্সরেও জমা পড়েছে।”

মামুন জানান, ‘ভাইজান এলো রে’র বিপরীতে রফতানি করা হচ্ছে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ এবং ‘সুলতান’র বিপরীতে ‘গহীনে বালুচর’।

এদিকে সেন্সর বোর্ডের সচিব মোহাম্মদ আলী সরকার তারকা সংবাদকে বলেন, ‘সিনেমাগুলো এফডিসি থেকে অনাপত্তিপত্র জমা দেয়নি। তারা সেটি খুব শিগগিরই জমা দেওয়ার কথা।’

‘সুলতান’ প্রযোজনা করেছে জিতস ফিল্ম ওয়ার্কস। পরিচালনা করেছেন রাজা চন্দ। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিত, মিম ও প্রিয়াঙ্কা। এছাড়া রয়েছেন তাসকিন রহমান।

অন্যদিকে ‘ভাইজান এলো রে’ প্রযোজনা করেছে এসকে মুভিজ। অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শ্রাবন্তী ও পায়েল।

দুটি সিনেমাই কলকাতায় গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছিল।